জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্য বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেছেন, ‘আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে এটা আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল। ডেঙ্গু পরিস্থিতি কেমন হবে তা আমরা বলি এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব, বৃষ্টিপাত বিবেচনা করে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।’ গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি ডেঙ্গুকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনবে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এই আশায় বসে থাকলে চলবে না। এখন হটস্পট ম্যানেজমেন্টে জোর দিতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের তথ্য নিতে হবে। তাদের বাসার চারপাশে লার্ভিসাইডিং করে মশার উৎস স্থল ধ্বংস করতে হবে। ফগিং করে উড়ন্ত মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হটস্পট ম্যানেজমেন্টে ব্যর্থ হলে ডেঙ্গু জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে যায়। মুগদা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশি ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শুরুতে এসব হাসপাতাল থেকে রোগীর তথ্য নিয়ে হটস্পট ম্যানেজমেন্টে জোর দিলে এমন পরিস্থিতি হতো না। আশঙ্কার বিষয় দেখা দিয়েছে কক্সবাজার। ঢাকার পরে সবচেয়ে বেশি রোগী কক্সবাজারে। মূল সমস্যার বিষয় হচ্ছে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রায়িত কোনো অভিভাবক প্রতিষ্ঠান নেই।’
ড. কবিরুল বাশার আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে আমি ন্যাশনাল ভেক্টর কন্ট্রোল সেল নামে একটা পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দিয়েছিলাম। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজও করেছে। কিন্তু এখনো তার বাস্তবায়ন হয়নি। যদি আমরা জাতীয় পর্যায়ে একটা ভেক্টর কন্ট্রোল সেল করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের যে কোনো জেলাতে যে কোনো মশাবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা করা যাবে। কীভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কী ধরনের কীটনাশক কী পরিমাণে দিতে হবে সে বিষয়ে এ প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারবে।’