নীলফামারীর ডিমলায় চাকরি না পেয়ে অনার্সসহ সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেছেন স্নাতক পাস যুবক বাদশা মিয়া। গতকাল দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে নিজের শিক্ষাজীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন।

বাদশা মিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে। অভাবের সংসারে ৬ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। তবে অর্থের অভাবে মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পারেননি। বাদশা জানান, আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ! কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে কর্ম করে খাচ্ছে, আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সার্টিফিকেট অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কি? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি। আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাইবোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বাদশার বাবা মহুবার রহমান জানান, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় বেশ কিছু দিন থেকে হতাশায় ভুগছিল বাদশা। দিন দিন হতাশা বেড়ে যাওয়ায় সে তার সার্টিফিকেটগুলো কাউকে না জানিয়ে ছিঁড়ে ফেলে।