সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সবুজ মাল্টায় বাজিমাত

মাগুরা প্রতিনিধি

সবুজ মাল্টায় বাজিমাত

মাগুরায় উৎপাদিত হচ্ছে সবুজ রঙের বারি-১ জাতের মাল্টা। জেলার আবহাওয়া ও মাটি এ জাতের মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  হুমায়ুন কবির জানান, মাগুরা জেলায় ১৬ হেক্টর জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারি উদ্ভাবিত বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ হয়েছে। যার মধ্যে সদরে চাষ হয়েছে ৫ হেক্টরে। জেলায় মোট মাল্টা বাগানের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০টি। বারি-১ জাতের মাল্টা মাগুরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী। হেক্টর প্রতি এ জাতের মাল্টার ফলন ৯ দশমিক ৮ টন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকা ও আশপাশের জেলায় এই মাল্টার চাহিদা রয়েছে। যার কারণ হচ্ছে এটি বিদেশ থেকে আসা হলুদ জাতের মাল্টার চেয়ে দাম কম। কিন্তু একই রকম সুস্বাদু। বিদেশি জাতের মাল্টা প্রতি কেজি যেখানে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, এই জাতের মাল্টা সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০  টাকা। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর কারণে ফেরিঘাটের কোনো যানজট ছাড়াই কৃষক ও পাইকাররা রাজধানীর আশপাশের জেলায় পাঠাতে পারছেন।

সরেজমিন মাগুরা সদরের শিবরামপুরে ওবায়দুল ইসলামের মাল্টা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি ২ একর ২১ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। ২ বছরের মাথায় কিছু গাছে মাল্টা ধরেছে। তিনি জানান, তার বাগানে ৫০০ গাছ আছে। এ বাগান থেকে তিনি বছরে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা মুনাফার আশা করছেন।

মাগুরা সদরের রাউতড়া গ্রামের নাসির হোসেন জানান, তার ৪ একর জমিতে ৪০০ মাল্টা গাছ আছে। প্রথমে ১০০ গাছ রোপণ করেন তিনি। পরে গ্রাফটিং কলম পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে ২ বছরে তিনি বাণিজ্যিক ফলের বাগান করেছেন। একরপ্রতি তিনি ২ লাখ টাকার মুনাফা আশা করছেন। স্থানীয় মাল্টা চাষিরা জানান, এটি দ্বিতীয় বছর থেকেই ফল দেয়। তবে বাণিজ্যিক বিবেচনায় পরিপূর্ণভাবে ফল দেয় তৃতীয় বছর থেকে; যা কমপক্ষে ১০ বছর অব্যাহত থাকে। বারি জাতের এ মাল্টার ফলন অনেক বেশি। আকারে বড়। ৫ থেকে ৬টা মাল্টায় এক কিলোগ্রাম হয়। কৃষকরা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এটি পাঠান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর