মো. বিল্লাল হোসেনের বয়স মাত্র ২২ বছর। কিন্তু এই ২২ বছরের মধ্যে তার চুরির অভিজ্ঞতাই ১০ বছরের। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তাকে দলে নেয় চোরচক্র সাইফুল গ্যাং। শারীরিক গঠনে ছোট হওয়ায় এবং গ্রিল বেয়ে ভবনে উঠতে পারায় সাইফুল তাকে দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা খোলার কাজে ব্যবহার করে। কিন্তু এই কাজে সিদ্ধহস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইফুলের গ্যাং ছেড়ে নিজেই গ্যাং তৈরি করে বিল্লাল। গত ১০ বছরে ৫ শতাধিক চুরি করেছে বলে জানিয়েছে বিল্লাল। সম্প্রতি একটা চুরির ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বিল্লাল ও তার সহযোগী মো. নুরুল্লাহ রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরিকৃত বিভিন্ন মালামাল এবং চুরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার বিল্লাল ময়মনসিংহের পাগলা থানার শামসুল হকের ছেলে এবং রাকিব ফেনীর সোনাগাজী থানার নুর নবীর ছেলে। গতকাল এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের নভোএয়ারের ফ্লাইট অপারেশন অফিসে চুরি হয়। এ ঘটনায় রবিবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তার সহযোগী রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ওই অফিস থেকে চুরি করা একটি ল্যাপটপ এবং গ্রিল ভাঙার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, সিঁড়ি ছাড়াই পাঁচতলা ভবন পর্যন্ত উঠতে পারে বিল্লাল। দেয়াল কিংবা পাইপ বেয়েই সে যেকোনো ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। এ কারণে তাকে স্পাইডারম্যান বিল্লালও বলে। মূলত তার টার্গেট বিভিন্ন অফিস। রাতের বেলা অফিসে লোকজন থাকে না। তাই এসব অফিসে গিয়ে ল্যাপটপ চুরি করাই তার প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু সব সময়ই সে ল্যাপটপের ক্রেতা পায় না। তাই বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে ২ হাজার, ১ হাজার এমনকি ৫০০ ও ২০০ টাকায়ও ল্যাপটপ বিক্রি করে দেয় বিল্লাল।