প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সমাবেশে বক্তব্যকালে নিউইয়র্ক স্টেটের গভর্নর ক্যাথি হোকুল বলেন, নিজের অধিকার-মর্যাদার স্বার্থে ব্যালট যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া জরুরি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষী হামলা বন্ধের জন্যও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের বিজয়ী করা দরকার। এটাই সময়ের দাবি। সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন গুলশান টেরেস মিলনায়তনে এই সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের এশিয়ান বিষয়ক উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান। আসছে নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই স্টেট গভর্নর পুনরায় স্বপদে লড়বেন। নিউইয়র্কের ইতিহাসে প্রথম নারী গভর্নর ক্যাথি হোকুল পুনরায় বিজয়ের অভিপ্রায়ে চষে বেড়াচ্ছেন। গড়ছেন নির্বাচনী প্রচার তহবিল। বাংলাদেশিদের এই সমাবেশেও ৫০ হাজার ডলারের মতো সংগৃহীত হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। গভর্নর ক্যাথি হোকুল বলেন, অভিবাসীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং নিউইয়র্কের উন্নয়নে অশেষ অবদান রাখছেন। বাংলাদেশিরাও ইতোমধ্যে সমগ্র কমিউনিটিতে নিজের অবস্থানকে উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা মেধাবী এবং নিষ্ঠাবান। গভর্নর উল্লেখ করেন, করোনাকালীন মহাসংকটে আমরা যেভাবে পরস্পরের সহযোগী ছিলাম, একই চেতনায় সামনের দিনেও সম্প্রীতির বন্ধনকে সুসংহত রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, সামাজিক নিরাপত্তা হচ্ছে উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত। নিউইয়র্কে এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি পুনরায় বিজয়ী হলে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ‘বাংলাদেশিজ ফর ক্যাথি হোকুল’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ, ইমিগ্র্যান্ট অ্যাল্ডার হোমকেয়ারের সিইও গিয়াস আহমেদ, ক্যাসেল হিল মেডিকেল অব নিউইয়র্কের সিইও রাহাত মুক্তাদির, চিকিৎসক চৌধুরী এস হাসান, গোল্ডেন অ্যাজ হোমকেয়ারের সিইও শাহনেওয়াজ, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মইনুল ইসলাম, প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্টের সিইও বাবু খান, শাহ গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ফৌজিয়া জে চৌধুরী প্রমুখ।