শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাতটি আসন পেতে কাজ করছে বিএনপি

------- রেজাউল করিম বাদশা

সাতটি আসন পেতে কাজ করছে বিএনপি

বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, দল পুনর্গঠন শুরু হওয়ায় গত ১০ বছরে যারা উপেক্ষিত ছিলেন, তারা নিষ্ক্রিয় থেকে সক্রিয় হয়েছেন। বগুড়ার সাতটি আসনের সব কটিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হতে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রেজাউল করিম বাদশা বলেন, রাজপথের কঠোর আন্দোলনের জন্য শক্তিশালী সংগঠনের বিকল্প নেই। সাংগঠনিক কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষে জেলা কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন হবে। পুনর্গঠনের পর বগুড়া থেকেই আন্দোলন শুরু করা হবে। এখন দলে অনেকেই আসছেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন কর্মী যুক্ত হচ্ছে দলের সঙ্গে।

তিনি বলেন, বিএনপি শক্তিশালী হিসেবেই বগুড়ায় অবস্থান করবে সব সময়। সব আন্দোলনে কাজ করে যাবে। মামলার কারণে অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে এবং কেউ পালিয়ে রয়েছেন। এখনো অনেক নেতার নামে অর্ধশত করে মামলা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীদের দাবিয়ে রাখতে কৌশলে এসব মামলা দিয়ে দলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছে সরকার। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা দমে যাওয়ার নয়। তারা মামলার ঝাঁপি মাথায় নিয়েও দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

জেলা বিএনপির এই আহ্বায়ক বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। দলের ২৪টি সাংগঠনিক ইউনিটের মধ্যে ২২টি ইউনিটের সম্মেলনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হয়েছে। জেলা বিএনপির নেতা নির্বাচনে কমিটি গঠনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। আসছে জাতীয় নির্বাচনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং নির্বাচন করতে দেওয়া হলে বগুড়ার সাতটি আসনই বিএনপির দখলে যাবে। বগুড়ায় আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে নির্বাচন নিয়ে কূটকৌশল করা হয়। এবার থেকে বিএনপি সেটা হতে দেবে না। এদিকে ভাঙচুর-নাশকতা কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হামলায় ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিতে বাতাস লাগতে শুরু করেছে। কার্যালয়ে আসছেন বিএনপি নেতারা। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক ইউনিটগুলো সাজিয়ে নিতে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে। বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে থাকা বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী জামিন পেয়ে সামনে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই আবার মিছিল, মিটিং ও দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। দলে নেতা-কর্মী বাড়ার কারণে ফের সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে বগুড়ার বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে বগুড়াকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে এখনো ধরা হয়। ভোটের রাজনীতিতে বগুড়ায় আওয়ামী লীগের চেয়ে এখনো বিএনপি অনেক এগিয়ে। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করে মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত বিএনপিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। মামলা থাকায় দলীয় কার্যালয় আর আদালতপাড়া নিয়ে বেশি সময় কাটছে বিএনপির। এক রকম নুয়ে পড়া বিএনপিকে নতুন করে সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় নেমেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা। ২০১৯ সালের মে মাসে জেলা বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটি ভেঙে দিয়ে বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে আহ্বায়ক করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ জুন উপনির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে তিনি জয়ী হন। এমপি থাকাকালেই ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের স্থলে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাকে আহ্বায়ক করা হয়। আহ্বায়ক হয়ে দল গোছাতে কাজ করে যাচ্ছেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।

সর্বশেষ খবর