বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

গণপরিবহনে এমন নৈরাজ্য কোথাও নেই

------ কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

গণপরিবহনে এমন নৈরাজ্য কোথাও নেই

প্রধান কিছু সড়ক ছাড়া বরিশাল নগরীর অলিগলি ও শাখাসড়কগুলোতে সমস্যা আছে। এগুলো দিয়ে চলাচল করা বাসিন্দাদের দায় হয়ে পড়েছে। সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও নদী-খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। নাগরিকদের দুর্ভোগ-হয়রানি ও বঞ্চনার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শিবলু বলেন, রাস্তাঘাট ভালো না। গণপরিবহনে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। এ রকম কোনো শহরে আছে বলে মনে হয় না। হাজার হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা আর অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণহীন। সব জায়গায় এগুলো যেতে পারে না। নাগরিকরা চলাচলে দুর্ভোগে পড়েন। শহরের অভ্যন্তরে অবশ্যই বাস সার্ভিস থাকা উচিত। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ফুটপাত দখল হয়ে আছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। আগে মানুষ পুকুর ও খালের পানি ব্যবহার করত। খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে একটু বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। নাগরিক অধিকার সংগঠক শিবলু বলেন, নগরীতে প্রায় ১০০ কিন্ডারগার্টেন আর প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা সংগতিপূর্ণ নয়। মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোও মান ধরে রাখতে পারেনি। মানসম্পন্ন শিক্ষক সংকট থাকায় শিক্ষার্থীরা তেমন কিছু শিখতে পারছে না। মাঠগুলো ব্যবহারের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও নেই। পরিবার থেকেও সন্তানদের সময় দেওয়া হচ্ছে না। নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের সদস্যসচিব শিবলু বলেন, প্রবহমান বড় খালগুলো ভরাট ও দখল হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত ড্রেন নেই। একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হয়। সুরক্ষা না দেওয়ায় নদী-খালের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। কীর্তনখোলার দুই তীরে হাজারো অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। মানুষ নদীর তীরে গিয়ে নির্মল নিঃশ্বাস নিতে পারছে না।

 

সর্বশেষ খবর