সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরব থেকে ১ লাখ টন সার কিনবে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ৭১৯ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৯০ টাকা। গতকাল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ইউরিয়া সার কিনতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং ডিএপি সার কিনতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটি চারটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। এর মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৪৯৪ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ৪৯৮ টাকা। অতিরিক্ত সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০৪ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনাজাত থেকে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০৪ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৫ টাকায় আমদানির প্রস্তাবটিও অনুমোদন পেয়েছে। এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৮ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ৩০৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আগের চেয়ে কিছুটা কম দামে এসব সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, এই কেনাকাটায় প্রতি টন ইউরিয়া সারের দাম পড়ছে ৬৩২ ডলার, আগেরবার যার দর ছিল ৬৭৮ ডলার। অর্থাৎ এবারে প্রায় ৪৬ ডলার কমে ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।