আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের দ্বন্দ্ব নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলে কমিটি গঠন ও সরকারের উন্নয়নবিষয়ক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দল ঐক্যবদ্ধ রাখতে এসব সাংগঠনিক কর্মকান্ডের কথা জানালেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ।
এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে মাঠ গোছাতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শক্ত অবস্থান গড়তে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। কোনো অবস্থাতেই দলের বাইরে যাওয়া যাবে না। ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের নিয়ে সংগঠন তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন কমিটিতে আমরা এমন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনতে চাই, যারা পরীক্ষিত ও দলের জন্য কাজ করবে। আমরা জেলা ও উপজেলায় তরুণ নেতৃত্ব তুলে আনতে চাই। দল সুসংগঠিত করতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অবসান চাই। সবার মতামতের ভিত্তিতে তৃণমূলে ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরে হাইব্রিড ও বিতর্কিতরা নানা ধরনের সুবিধা নেয়। সুযোগ পেলেই দলের ক্ষতিও করে। প্রধানমন্ত্রী এদের ডাটা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য নতুন সদস্য নেওয়া হবে। তবে মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, অবৈধ অস্ত্রধারী, সাজাপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তানরা সদস্য পদ পাবেন না।
শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, খুলনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কিছু করেছেন। এক পদ্মা সেতুতে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি বদলে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, খুলনা-মোংলা রেলপথ, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি- সবই শেখ হাসিনার অবদান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে এ ধরনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে।