বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রাণের জোয়ার

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রাণের জোয়ার

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। তবে এর মধ্যেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছিল প্রাণের উচ্ছ্বাস। গতকাল দর্শকের পদচারণে মুখরিত ছিল শিল্পকলা একাডেমির চারটি ও মহিলা সমিতি মিলনায়তন। মঞ্চে নাটকের সংলাপের পাশাপাশি আবৃত্তির দৃপ্ত উচ্চারণ, নৃত্যের মুদ্রার ছন্দ ও সুরের মূর্ছনায় মোহিত ছিল প্রতিটি মিলনায়তন। সংস্কৃতির সব আসরেই দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও প্রাণের জোয়ারে ভিন্ন এক আবহ সৃষ্টি হয়েছিল। দর্শকরা শিল্পীদের পরিবেশনায় ঋদ্ধ হয়েছিলেন। শিল্পানুরাগীদের আগ্রহে প্রতিটি মিলনায়তনেই উপচে পড়ে শিল্পের রস। এমন দৃশ্যকল্পই ছিল রাজধানীতে চলমান ১১ দিনের গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে।

উৎসব প্রাঙ্গণে কথা হয় রাজধানীর মগবাজার থেকে আসা সংস্কৃতি অনুরাগী আল সামাদ রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘উৎসব প্রাঙ্গণে এসে খুবই ভালো লেগেছে। বিকালে উন্মুক্ত মঞ্চে নাচ, গান, পথনাটক ও আবৃত্তি দেখলাম। সন্ধ্যায় নাটক দেখলাম। উৎসবে না এলে বুঝতে পারতাম না রাজধানীতে এমন সুন্দর আয়োজন হচ্ছে। মনটা ভালো হয়ে গেল। এমন উৎসব যত বেশি হবে আমাদের সংস্কৃতি তত বেশি ঋদ্ধ হবে। লোকজনের উপস্থিতি দেখে বুঝলাম আমাদের দেশি সংস্কৃতির প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি এ উৎসবের সফলতা কামনা করি।’

গতকাল উৎসবের পঞ্চম দিনে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকের দল বাতিঘর প্রযোজিত ‘মাংকি ট্রায়াল’। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় বরিশালের শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের ‘উপসংহার’। স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় মৈত্রী থিয়েটারের ‘চা অথবা কফি’। একই সময়ে নাটক সরণি খ্যাত বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় ঢাকা থিয়েটার মঞ্চ প্রযোজিত ‘বহিপীর’। শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে পরিবেশন করা হয় আবৃত্তি সংগঠন জলার্ক প্রযোজিত আবৃত্তির আসর ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’। উদ্ভাসন পরিবেশন করে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘আগমনী’। জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথনাটক। এতে অংশ নেয় কিংবদন্তি আবৃত্তি পরিষদ, রোদের ইশকুল, সুরতাল সংগীত একাডেমি, ভোরের পাখি নৃত্যকলা কেন্দ্র ও উত্তরীয় থিয়েটার। আজ উৎসবের ষষ্ঠ দিনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে আমন্ত্রিত নাট্যদল হিসেবে ভারতের অনীক নাট্যদল মঞ্চায়ন করবে ‘পিরানদেল্লো ও পাপেটিয়ার’। পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দেশ নাটক মঞ্চায়ন করবে ‘নিত্যপুরাণ’। উৎস নাট্যদল মঞ্চায়ন করবে ‘স্বর্ণজননী’। ৩১ অক্টোবর শেষ হবে এ উৎসব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর