বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে ইয়াবা আনতেন এরশাদুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে নৌপথে কক্সবাজারে ইয়াবা আনতেন এরশাদুল হক। পরে ঢাকার ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্যবাহী ট্রাক, মাছের ট্রাক, কখনো বাসে ইয়াবার চালান পাঠাতেন। এসব পরিবহনে ম্যাগনেট (চুম্বক) ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় ঢাকায় ইয়াবা আনতেন।

তবে অধিকাংশ সময় ইয়াবা পাঠিয়ে তিনি প্লেনে ঢাকায় আসতেন। সেই ইয়াবা রিসিভ করতেন। ঢাকায় ডিলারদের সঙ্গে লেনদেন করতেন। কক্সবাজারে তার মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। এর আড়ালে মূলত ইয়াবা ব্যবসা করতেন এরশাদ। কক্সবাজারের উখিয়ার ইয়াবা ব্যবসায়ী এরশাদুলকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসি ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা প্রায় এক মাস আগে এরশাদুলের ইয়াবা সিন্ডিকেট সম্পর্কে অবগত হই। এরশাদুলের সঙ্গে সখ্য তৈরির জন্য সোর্স নিয়োগ করি। ২৪ অক্টোবর ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ চক্রের সহযোগী সদস্য হুমায়নসহ তার স্ত্রীকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। হুমায়ন ও তার স্ত্রীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদুলের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হই। উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার ইয়াবার সম্রাট এরশাদুল বলে জানায় হুমায়ন। এরশাদুল ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে দুই-একদিনের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করবেন বলেও জানায় হুমায়ন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকার উত্তরার সেক্টর-১০ এলাকা থেকে ৩৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এরশাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ডিএনসি কর্মকর্তা বলেন, এরশাদুল একটি সরকারি কলেজ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। কক্সবাজার সদরের নুরুল হকের ছেলে এরশাদুল নিজেকে কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট টিমের সাবেক ক্যাপ্টেন বলে দাবি করেন। এরশাদুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উখিয়ায় তাদের একাধিক মাছের প্রজেক্ট রয়েছে। এটি তাদের পারিবারিক ব্যবসা। এই মাছের প্রজেক্টের আড়ালে তিনি ইয়াবার ব্যবসা করতেন। গত তিন বছর ধরে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারদের সঙ্গে বিভিন্ন গোপনীয় অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ইয়াবার কারবার করে আসছেন এরশাদুল। তিনি সরাসরি মিয়ানমারের ইয়াবার ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে নৌ পথে দেশে ইয়াবা আনতেন। মিয়ানমার থেকে পিস প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনে ঢাকায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করতেন।

সর্বশেষ খবর