রাজবাড়ীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমান শক্তিশালী। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ১৬ অক্টোবর ২০২১ সালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম সভাপতি ও কাজী ইরাদত আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজবাড়ীর আওয়ামী লীগ। সম্মেলনের আগেই আমরা প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করি। গত বছর আমাদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্টোকে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে কারণে দীর্ঘদিন আমরা জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারিনি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী অনেকটা সুস্থ হয়ে দলের কার্যক্রম করছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেছে। নভেম্বর মাস থেকে ওয়ার্ড কমিটির কার্যক্রম চলমান থাকবে। তখন থেকেই রাজবাড়ীর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। তখন আমাদের জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি শক্তিশালী করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগে সবসময় একটি নির্বাচনমুখী দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুয়ায়ী অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, রাজবাড়ীর মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন। কারণ শেখ হাসিনার নির্দেশে পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সেই সুবিধা পাচ্ছেন। বড় বড় মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সামাজিক স্থিতিশীলতার কারণে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তাদেরকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। পাংশাসহ রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।