সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

রংপুর সিটিতে ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারিতে ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুর দিকে রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। এক্ষেত্রে নভেম্বরেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন এ ভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এ সিটিতে নির্বাচন হয়। এ সিটির প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। আইন অনুযায়ী- সিটির মেয়াদ প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। সে হিসাবে এ সিটির জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দিন গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট। আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করতে হয়।

এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহে এ নির্বাচন নিয়ে কমিশন বৈঠকে বসবে সংস্থাটি। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রসিক নির্বাচনের ফাইল উপস্থাপনের জন্য কমিশন বলেছে। চলতি সপ্তাহের কমিশন সভায় রংপুর সিটি ভোটের বিষয় উপস্থাপন হতে পারে। চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুর দিকে রংপুর সিটি করপোরেশন ভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। সে লক্ষ্যে আগামী মাসেই (নভেম্বরে) এ ভোটের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানান তিনি। এ ভোটেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মো. আলমগীর বলেন, ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে রংপুরের নির্বাচন হতে পারে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আমরা নির্বাচনটা সময়ের মধ্যেই করতে চাই, কোনোভাবে সময় শেষের দিকে করতে চাই না। রংপুরে ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, সেটা কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এখনই বলা যাবে না। তবে কমিশনের এগুলো ব্যবহারের একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম ব্যবহারে অনেকেরই আপত্তি আছে- এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমরা কার আপত্তি আছে-কি নেই সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা ভাবছি কী দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে যতগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে সেখানে আমরা ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে প্রতিটা নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা সভায় তখন এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।

জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবেন কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা নয়, আমাদের রোডম্যাপে বলা আছে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। সম্ভব হলে আমরা সবগুলোতেই সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করব। তবে আমরা মনে করি সিসি ক্যামেরা হলে অনিয়ম ধরাটা সহজ হবে। বাইরের অনিয়ম সবাই দেখে কিন্তু ভিতরের অনিয়ম তো সবাই দেখতে পারে না। এটা অবশ্যই ভালো। সঠিক অপরাধীকে ধরার ও নিরাপত্তার জন্যই সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা সতর্ক থাকে, ফলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। যদি কোনো দল বা গোষ্ঠী এটা ব্যবহারের বিরোধিতা করে তাহলে তা মানা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যদি আর্থিক কারিগরি ও ব্যবস্থাপনায় সম্ভব হয় তাহলে আমরা কারও কথাই শুনব না। একই ব্যাপার ইভিএমের ক্ষেত্রেও। গাইবান্ধায় পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রিপোর্ট এখনো আমাদের হাতে আসেনি। হাতে এলে আমরা বসব। আলোচনা করব, তারপর সিদ্ধান্ত।

সর্বশেষ খবর