দেশের বিভিন্ন স্থানে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব রাসপূজা ও মেলা। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষায় ধর্মীয় রীতি অনুয়ায়ী পুরোহিত এনে সৈকতে মানত পূরণ ও পূজা-অর্চনা করেছেন। স্নান শেষে পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেন তারা। শুধু পুণ্যার্থীরাই নয়, নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলিত হয় রাসমেলায়। যার কারণে উৎসবস্থল পরিণত হয় জন-মানুষের মিলনমেলায়। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, রাস উৎসব ঘিরে দুই দিন আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেন পুণ্যার্থী-ভক্তরা। সমুদ্রসৈকতে আগত পুণ্যার্থী-ভক্তরা রাস পূর্ণিমা তিথিতে মধ্য রাতে নাম সংকীর্তন, পূজা-অর্চনা, পদাবলী কীর্তন শেষে উষালগ্নে করেন পুণ্যস্নান। গঙ্গাস্নান করতে আসা ভক্তরা বলেন, রাস পূর্ণিমা তিথিতে গঙ্গাস্নানেই ইহলোকের জাগতিক পাপমোচন ও রোগমুক্তি হয় পুণ্যার্থীদের। আর প্রতি বছরের মতো এ বছরও পূর্ণিমা তিথিতে তীর্থযাত্রীদের পদভারে মুখরিত হয় সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। ২০০ বছর যাবৎ শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলাকে ধারণ করেই কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাসমেলা বা রাস উৎসব।