শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নবান্নে মাছের মেলা

বগুড়া জয়পুরহাট

প্রতিদিন ডেস্ক

নবান্নে মাছের মেলা

বগুড়ার শিবগঞ্জ ও নন্দীগ্রাম এবং জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নবান্ন উৎসব ঘিরে বসে মাছের মেলা। বগুড়ার শিবগঞ্জ ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় পৃথক এই দুই মাছ মেলায় এবার ২২ কেজি ওজনের ব্ল্যাক কার্প, ১৫ কেজি ওজনের কাতল, ১২ কেজির রুই, ১০ কেজির বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ বিক্রি হয়েছে। নবান্নের এ মাছ মেলাকে ঘিরে দুই উপজেলায় উৎসব বয়ে যায়। শত বছর থেকে চলে আসছে এ মেলার প্রচলন। মাছ মেলাকে ঘিরে দুই উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের মেয়ে ও মেয়েজামাই নিয়ে উৎসব-আনন্দ বয়ে যায়।

অপরদিকে গতকাল দিনব্যাপী জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচশিরা বাজারের মাছের মেলায় দেখা গেছে হরেক রকমের মাছ। থরে থরে সাজানো ছিল রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, ব্রিগেড, বোয়াল। সারি সারি দোকান। এক কেজি থেকে শুরু করে ২০ কেজি ওজনের মাছ। লোকজনও উৎসাহ নিয়ে দেখেছেন, কিনেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া ও জয়পুরহাট প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

বগুড়া : পঞ্জিকানুসারে  অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহে মেলা হয়। এদিন নবান্ন উৎসব পালন করা হলেও এ উৎসবকে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর মাছ মেলা বসে শিবগঞ্জ উপজেলার উথলীতে। এখানকার ২২ গ্রামের মানুষের ঘরে ঘরে ছিল উৎসবের আয়োজন। প্রতি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ  আত্মীয়-স্বজনদের নিমন্ত্রণ করা হয়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা নতুন ধানের চালে নবান্ন করেন। নবান্ন উপলক্ষে মাছের মেলা বসলেও জমি থেকে নতুন তোলা অন্যান্য শাক-সবজির পসরাও সাজানো হয় মেলা চত্বরে। এই মেলা শত বছরের বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। প্রথম দিকে নবান্নকে ঘিরে গ্রামীণ মেলা বসলেও কালক্রমে সেটি মাছ মেলা হয়ে যায়।

এদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলাতেও একই রকম মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর এ উৎসবকে ঘিরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর, রণবাঘায় মাছ মেলা বসে। এ ছাড়া উপজেলার নাগরকান্দি, হাটকড়ই, ধুন্দার বাজারে মাছের মেলা বসে। মাছ মেলায় অনেক জেলে, খামারি, মাছ ব্যবসায়ী তাদের মাছ নিয়ে আসেন। উপজেলাজুড়ে প্রতিটি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ স্বজনদের আগে থেকেই দাওয়াত দেওয়া হয়। প্রতিটি ঘরে ঘরে মেয়ে ও জামাইদের কদর থাকে। আর মেলা থেকে মাছ কিনতে হয় জামাইদের।

জয়পুরহাট : পয়লা অগ্রহায়ণে বসে মাছের মেলা। অগ্রহায়ণ মাসে কিছুটা ঠান্ডা হলেও মেলাজুড়ে ছিল ক্রেতা-বিক্রেতা আর কৌতূহলী মানুষের ঢল। মেলায় নদী, দিঘি ও পুকুরে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা দেশীয় প্রজাতির টাটকা মাছ কিনতে ক্রেতা ও পাইকাররা ভিড় জমান। অগ্রহায়ণ মাসে মাঠ থেকে নতুন ফসল ঘরে উঠলেই নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেন উপজেলার কৃষকরা। নবান্ন উৎসবে প্রতি বছর বসে মাছের মেলা। মেলায় অংশ নেন উপজেলার মাত্রাই, হাতিয়র, মাদারপুর, হাটশর, হারুঞ্জ, পুনট, বেগুনগ্রাম, পাঁচগ্রামসহ ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষ। এ উৎসবে প্রতি বাড়িতে মেয়ে-জামাইসহ স্বজনদের আগে থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ মেলায় আসেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর