বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ নারী পেলেন ‘অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা ২০২১’। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- নাজনীন আহমেদ (অর্থনীতিবিদ), বিটপী দাশ চৌধুরী (করপোরেট ব্যক্তিত্ব), ত্রপা মজুমদার (মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক), শাহিনুর আক্তার (অদম্য সাহসী), সালমা সুলতানা (বিজ্ঞানী), রুদমীলা নওশীন (প্রযুক্তিবিদ), শাহরিয়ার ফারজানা (আলোকচিত্র শিল্পী), সান্ত্বনা রানী রায় (মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক), মোছা. ইছমত আরা (নারী উদ্যোক্তা) ও জয়া চাকমা (প্রথম ফিফা রেফারি)। এই ১০ জন ছাড়াও বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন কারুশিল্পী সরত মালা চাকমা।
গতকাল বিকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের এ সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন বাধা, চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতাকে পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার যে অদম্য স্পৃহা সেটা তাদের এই সফলতার মূলে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।’ ‘বাংলাদেশে নারী শক্তি অনেক দূর এগিয়ে যাবে সেটাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। কেননা আমরা তার অনেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের চারপাশে দেখতে পাচ্ছি।’ তাসমিমা হোসেন বলেন, অনন্যা এখন পর্যন্ত ২৮০ জনকে তুলে এনেছে এবং তাদের সম্মাননা দিয়েছে। অনন্যা থেকে সম্মাননা পাওয়াদের অনেকেই এখন রাষ্ট্রপরিচালনসহ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে অবদান রাখছেন। ১৯৯৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘অনন্যা শীর্ষদশ’ সম্মানিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ ২৭০ জন।মাসুম আজিজ স্মরণে ঢাকা পদাতিক : আলোচনা ও স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে সদ্য প্রয়াত একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মাসুম আজিজকে স্মরণ করেছে নাটকের দল ঢাকা পদাতিক। গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত হয় এ স্মরণানুষ্ঠান। এতে মাসুম আজিজের স্মৃতিচারণা করেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, সৈয়দ জামিল আহমেদ, মাসুম আজিজের স্ত্রী সাবিহা জামান, তার ভাই শামসুজ্জামান হীরা, আয়োজক নাট্যদলের সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’-এর সূচনা-অনুষ্ঠান : বিগত তিন বছরে প্রয়াত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তিনজন প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি- কবি-স্থপতি রবিউল হুসাইন, মুক্তিযোদ্ধা-সমাজকর্মী জিয়াউদ্দিন তারিক আলী এবং কণ্ঠযোদ্ধা, নাট্যজন ও বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। তারা ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর তাদের স্মৃতি বহমান রাখতে ‘রবিউল হুসাইন স্মারক বক্তৃতা’, ‘জিয়াউদ্দিন তারিক আলী গণহত্যা অধ্যয়ন ফেলোশিপ’ ও ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’ নামে তিনটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গতকাল বিকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার হলে ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’-এর উদ্বোধন এবং গ্রন্থাগারসমূহে বই প্রদান-অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কর্মসূচিভুক্ত প্রত্যেক গ্রন্থাগারের প্রতিনিধির হাতে নির্বাচিত বইসমূহ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি, ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, ট্রাস্টি মফিদুল হক, আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ-এর সমন্বয়ক মো. শাহ নেওয়াজ ও আলী যাকেরের পরিবারের পক্ষে পুত্র ইরেশ যাকের এবং কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন পাঠাগারের প্রতিনিধিরা।