রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চাবিতে খুলল ছাত্র হত্যার রহস্য

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

একটি চাবিতেই খুলে গেল হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মাদরাসা ছাত্র আকরাম খান (৯) হত্যার জট। এ ঘটনায় আরও তিন মাদরাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো- ফখরুল মিয়া (১৬), ফয়েজ উদ্দিন (১৩) ও জাহেদ মিয়া (১৫)। পুলিশ বলছে, মাত্র ১১০ টাকার জন্য আকরামকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল এসব জানান বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব। নিহত আকরাম খান উপজেলার মক্রমপুর সামায়ুন কবির হাফিজিয়া এতিমখানার ছাত্র এবং একই গ্রামের মৃত দৌলত খানের ছেলে। অভিযুক্ত ফখরুল মিয়া একই গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে। ফয়েজ উদ্দিন জুলহাস মিয়ার ছেলে। জাহেদ মিয়া মহিবুর রহমানের ছেলে ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, গত ১৬ নভেম্বর সামায়ুন কবির হাফিজিয়া এতিমখানার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ডুবানো নৌকার তল থেকে আকরাম খানের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, নিহত আকরাম খানের কাছে একটি চাবি ছিল। যা দিয়ে এতিমখানার অনেক ছাত্রের ট্রাংক খোলা যেত। এ ছাড়াও মাদরাসার কারও কিছু চুরি হলেই আকরামকে সন্দেহ করা হতো। সেই সূত্র ধরে এগিয়ে যেতে থাকে পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে একই মাদরাসার ছাত্র ফখরুল, ফয়েজ ও জাহেদকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। একপর্যায়ে তারা এ হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

অভিযুক্তদের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, হত্যার কিছুদিন আগে ফখরুল মিয়ার ট্রাংক থেকে প্রথমে ৬০ ও পরে ৫০ টাকা চুরি হয়। সেই টাকা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে আকরাম খানের কাছে ওই চাবি থাকার কথা জানতে পারে ফখরুল, জাহেদ ও ফয়েজ। এরপর সন্দেহ থেকেই তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আকরামকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। ১৬ নভেম্বর সকালে তারা কৌশলে আকরামকে মাদরাসার পেছনের পুকুরের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রশি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। ওই সময় আকরাম চিৎকার শুরু করলে মুখ চেপে ধরা হয়। ইট দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করা হয়। পরে পানিতে ডুবিয়ে আকরামের মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।

সর্বশেষ খবর