দেশ-বিদেশের শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রদর্শন, গবেষণা ও বিশেষ দিবসে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জাতীয় জাদুঘর। এরই অংশ হিসেবে প্রয়াত ৪০ মাস্টার পেইন্টার ও বরেণ্য শিল্পীর শিল্পকর্ম নিয়ে জাদুঘরে শুরু হয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী।
গতকাল জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উপলক্ষে এ আয়োজন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।ক্যানভাসে তেল রং, হার্ডবোর্ডে তেল রং, কাগজে জল রং, কাগজে কালি ও কলম, কাগজে কালি ও তুলি, কাগজে প্রিন্ট, কাগজে পোস্টার রং, কাগজে গোয়াশ, কাগজে কলম ড্রয়িং, কাগজে রঙিন পেন্সিল, কাগজে এচিং, কাগজে সেরিগ্রাফ, ট্যাপেস্ট্রি, রং ও সাদা সিমেন্ট, ব্রোঞ্জ, কাঠ, কাঠ কোলাজ, পোড়ামাটি ব্যবহার করে এ শিল্পকর্মগুলো অঙ্কন করেছেন শিল্পীরা।
কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের কথা উঠলে প্রথমে সবার মাথায় আসে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নাম। বাংলার দুর্ভিক্ষের চিত্রকর্ম দিয়ে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঢাকা আর্ট কলেজ, ময়মনসিংহ জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সূচনা তাঁর হাত ধরে হয়েছিল।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতীয় জাদুঘরের চিত্রকর্ম সংগ্রহের ভান্ডার অনেক সমৃদ্ধ। যারা চিত্রশিল্প তৈরি করেন তারাও আমাদের মতই মানুষ। কিন্তু তাদের উপলব্ধির ক্ষেত্র গভীর ও ভিন্ন রকম। শনি থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সব দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি। ৮ জানুয়ারি শেষ হবে এ প্রদর্শনী।