ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের চাঙা করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করে বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে যদি দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসে, বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে ভোলার চারটি আসনই বিএনপি পুনরুদ্ধার করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, ভোলায় প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। বিগত দিনে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনেই বিএনপি প্রার্থীরা এমপি ছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় পরিবেশ ছিল না। একতরফা নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীদের দমন-পীড়নের মধ্যে রাখা হয়েছিল। হামলা মামলা করে এখনো বিরোধী দলকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা অব্যাহত আছে। রাস্তায় নামলেই পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে। গুলি করে পর্যন্ত নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের এখনো এক বছর বাকি। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে আমরা যাব কি না, তা কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ভোলায় তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির ব্যাপক ভোট রয়েছে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষও এখন অতিষ্ঠ। তারা সরকারের পরিবর্তন চায়। আমরা সাংগঠনিকভাবে দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছি। ভোলা জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগে। অচিরেই ভোলা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হতে পারে। তা ছাড়া উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি আছে। যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, কৃষক দলসহ অন্য অঙ্গসংগঠনগুলোরও শক্তিশালী কমিটি রয়েছে।