গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে স্বামী-স্ত্রীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানার সিকদারপাড়া এলাকার শুকুর শিকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, খাটের উপরে স্ত্রীর ও ফ্লোরে পড়ে ছিল স্বামীর দগ্ধ লাশ। বিষয়টি রহস্যজনক এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতরা হলেন, নীলফামারীর ডিমলা থানার ভাঙ্গারহাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবু সুফিয়ান (৩৯) ও স্ত্রী নাসরিন আক্তার (৩৫)। আবু সুফিয়ান রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নাসরিন একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তারা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
শুকুর শিকদারের বাড়ির প্রহরী মো. আল-আমিন বলেন, ভোরে ওই ফ্ল্যাট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে তিনি অন্যদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আগুন নেভান। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ পড়ে থাকা দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সুফিয়ান ও নাসরিন দম্পতির একমাত্র ছেলে ছোট্ট নাফিস। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র। নাফিস মাদরাসার হোস্টেলে থাকে। শিশু নাফিস জানায়, তার বাবা-মায়ের মধ্যে তেমন কোনো কলহ-বিরোধ ছিল না। তবে কোনাবাড়ী থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। ঘটনার দিনও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে রাতের কোনো এক সময় আগুন লাগিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে। তবে বিষয়টি রহস্যজনক। তারা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন, না মৃত্যুর পর আগুন লেগেছে, নাকি এ ঘটনায় কোনো নাশকতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।