দিনাজপুরের আত্রাই নদী এখন বালুচর। ৪৯২ মিটার দীর্ঘ জিয়া সেতুর নিচে নদীর বেশির ভাগই বালুচরে পরিণত হয়েছে। আর যে অংশে পানি আছে তাও পরিমাণে কম।
খানসামা উপজেলার পশ্চিম সীমানাজুড়ে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদী প্রবহমান। এ জনপদের বিকাশ ঘটেছে আত্রাই নদীকে কেন্দ্র করে। সেই খরস্রোতা আত্রাই নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে বালুচর। হারিয়েছে নাব্য। জেগে ওঠা চরে চলছে বিভিন্ন প্রকার ফসলের চাষাবাদ।
আত্রাই নদী-তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, মমিনুলসহ কয়েকজন জানান, আত্রাই এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।নদী-সংলগ্ন ও আশপাশের এলাকায় কয়েক শ জেলে পরিবারের বসতি। ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছের উৎস ছিল এই নদী। জীবিকার জন্য মাছের আশায় জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল দড়ি নিয়ে চষে বেড়াতেন নদীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ধরা পড়ত প্রচুর মাছ। তবে এখন পানি কমে বালুচর হওয়ায় মাছ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নদীপাড়ের জেলে পরিবারগুলো পেশা পরিবর্তন করেছে। শুষ্ক মৌসুমে উত্তাল নদীটি বালুচরে পরিণত হয়। আর বর্ষায় নদী পানিতে স্ফীত হয়ে জনপদ তলিয়ে যায়। গভীরতা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এ নদীর পানি অনেক স্থানে কমে হাঁটু সমান হয়ে যায়। এ সময় এলাকার মানুষ হেঁটে পার হয় নদী। তারা জানান, বর্ষায় আত্রাই নদীর তর্জন-গর্জনে তীরবর্তী মানুষের বুকে কম্পনের সৃষ্টি হয়।