স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি। কিন্তু সেখানে নেই নির্বাচনী আমেজ। ইতোমধ্যে গত ২৫ ডিসেম্বর একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলন করে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন চারজন প্রার্থী। কিন্তু তাদের যেমন জোরদার প্রচার-প্রচারণা নেই, তেমনি ভোটারদেরও এ নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল প্রতীক)। নির্বাচনের সপ্তাহখানেকের মতো সময় বাকি থাকলেও এলাকায় খুবই কম সংখ্যক পোস্টার দেখা গেছে। মাইকযোগে প্রচারের কাজও বেশি হচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনার কাজেও নামেননি অধিকাংশ প্রার্থী। এলাকায় হাটবাজার চায়ের দোকানে নেই নির্বাচনী আড্ডা বা জটলা। অন্য যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এটি একেবারে নিরুত্তাপ নির্বাচন হতে চলেছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া বাজার এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ১২ অক্টোবরের নির্বাচনের দিন যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে মানুষ শঙ্কিত। বছরখানেক পরই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এই স্বল্প সময়ের জন্য নির্বাচন করে কোনো লাভ হবে না। তাই সব মিলিয়ে ভোটারদের আগ্রহ কম। জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, ১২ অক্টোবর ঠিকভাবে ভোট দিতে না পারায় ভোট নিয়ে মানুষের অনীহা আছে। তারা কাকে ভোট দেবেন তা গত ১২ অক্টোবর ভোট গ্রহণের সময়ই মনে মনে ঠিক করে রেখেছেন। তবে আমরা গত শুক্রবার থেকে গণসংযোগ ও প্রচারণায় নেমেছি। এবার স্বাভাবিকভাবেই আমরা পোস্টার কম লাগিয়েছি। সাঘাটা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামশীল আরেফিন টিটু বলেন, আমরা গতবার ভোট স্থগিত হওয়ার কদিন পর থেকেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। আমাদের দলীয় প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। অন্য প্রার্থীরা নানাভাবে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার মানসিকতায় ছিলেন। তাই তাদের প্রচারণা ছিল না, এখন তারা কিছু কিছু প্রচারণা শুরু করেছেন।