রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দূরদূরান্ত থেকে এসেও চড়ছেন মেট্রোরেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দূরদূরান্ত থেকে এসেও চড়ছেন মেট্রোরেলে

মেট্রোরেলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিতে দূরদূরান্ত থেকেও আসছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। অনেকেই শখের বশে আসছেন। ভিড় করছেন স্টেশনগুলোয়। অনেকে পরিবার নিয়েও এসেছেন। কেউ কেউ বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন অভিজ্ঞতা নিতে। কেউ কেউ বলছেন, তারা শিশুদের আবদার মেটাতে এসেছেন। গতকাল সকালে প্রান্তিক দুই স্টেশন উত্তরা ও আগারগাঁওয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

রাজবাড়ী থেকে মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতা নিতে এসেছেন মো. রবিউল। তিনি বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেলে চড়বেন বলে শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী থেকে এসেছেন। আগারগাঁওয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভোরে আগারগাঁও স্টেশনে আসি। সকাল ৮টায় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাউন্টারে পৌঁছাতে সক্ষম হই সাড়ে ৯টায়। মেট্রোরেলে চড়তে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’ নরসিংদীর শিবপুর থেকে শরিফুল, অয়ন, সাদমান ও মৃদুল ঢাকায় এসেছেন মেট্রোরেলে চড়তে। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষার পর মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। তারা জানান, ‘খুব ইচ্ছা ছিল মেট্রোরেল ভ্রমণের। সবাই একসঙ্গে ছবি ওঠানোর। ছবি উঠিয়েছি, সবাই মিলে সেলফি তুলেছি। আনন্দমনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’ স্কুল ছুটি থাকায় অনেকেই ঢাকায় স্বজনদের বাসায় বেড়াতে এসেছেন। বাড়ি ফেরার আগে অনেকেই এসেছেন মেট্রোরেলে চড়তে। ফেনীর ফুলগাজী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এসেছিলেন সন্তান ও ভাতিজিদের নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সবাইকে নিয়ে এসেছিলাম। ১২টা বেজে যাওয়ায় স্টেশনে ঢুকতে পারিনি। আজ সকাল সকাল এসে ঘুরে গেলাম।’ শুধু রবিউল, শরিফুলরাই নন। তাদের মতো অনেকেই মেট্রোরেলে চড়তে আসছেন ঢাকায়। গতকাল তৃতীয় দিনেও উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল। সকাল থেকেই উত্তরার উত্তর স্টেশনের প্রবেশপথে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। শীতের সকালে মানুষের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের সারি দীর্ঘ হয়েছে। আগের দুই দিনের মতো গতকালও সকাল ৮টায় উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে প্রথম ট্রেন ছেড়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে উত্তরার উত্তর স্টেশনের ফটকে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, সকাল ১০টার আগে এত ভিড় ছিল না। স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মী সেলিম বলেন, সকালে খুব কুয়াশা ছিল, মানুষও কম ছিল। কিন্তু হালকা রোদ উঠতেই ভিড় বাড়তে শুরু করে। তৃতীয় দিনে এসে প্রথমবার মেট্রোরেলে চড়েছেন শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা তানভীর আহমেদ। তিনি একটি সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করেন। মূলত ছুটি থাকায় আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ীতে মেট্রোরেলে করে ঘুরতে এসেছেন। তবে ফিরতি পথে ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটার সময় সামান্য বিড়ম্বনায় পড়েন। তার কাছে থাকা ১০ টাকা এবং ২০ টাকার নোট মেশিন রিড করতে পারছিল না। পরে বন্ধুর থেকে টাকা নিয়ে দুটি টিকিট কাটেন। তিনি বলেন, ‘ভেন্ডিং মেশিন বেশ কিছু নোট শনাক্ত করতে পারে না। এটা অবশ্য বড় কোনো সমস্যা নয়।’ বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। কর্মব্যস্ততাসহ নানা কারণে অনেকেই প্রথম দিন মেট্রোরেলে চড়তে পারেননি। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে মেট্রোরেলে চড়তে নানা শ্রেণি-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ উত্তরার দিয়াবাড়ী ও আগারগাঁও স্টেশনে ভিড় করেছেন।

সর্বশেষ খবর