রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

খালি কনটেইনারে বিদেশযাত্রা সাতবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালি কনটেইনারে লুকিয়ে বিদেশ যাত্রা থামছে না। ১২ বছরে কমপক্ষে সাতটি এ ধরনের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে একজন কনটেইনারেই মারা গযান। বাকিরা আটক হয়েছেন। একই ধরনের ঘটনা বারবার হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি সুনামও ক্ষুণœ হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘বন্দর থেকে কনটেইনারে প্রবেশের সুযোগ নেই। হয়তো বাইরে থেকে ওই ব্যক্তি কনটেইনারে প্রবেশ করেছে। তারপরও কীভাবে ঘটল, তা তদন্ত করা হবে। এ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালি কনটেইনার জাহাজে তোলার আগে তিন দফা যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রথম দফায় জাহাজে নেওয়ার আগে ডিপো কর্তৃপক্ষ কনটেইনার খুলে যাছাই-বাছাই করেন। বন্দরে নেওয়ার পর তা দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা করেন বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা। জাহাজে তোলার আগে খালি কনটেইনার চূড়ান্ত পরীক্ষা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষ খালি কনটেইনার থেকে ফাহিম নামে এক কিশোরকে আটক করে। ওই কিশোর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাওয়া খালি কনটেইনারে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই কনটেইনারে যুক্তরাজ্য যাওয়ার চেষ্টাকালে বাবুল ত্রিপুরা নামে একজনকে আটক করেন বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা। ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর ভারতের বিশাখাপত্তনম বন্দরে রোহান হোসেন নামে একজনকে উদ্ধার করা হয়। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরগামী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় শোয়েব রিপন নামে এক যুবককে। ২০১১ সালের ১ এপ্রিল সিঙ্গাপুর বন্দরগামী জাহাজের কনটেইনারে ওঠেন দ্বীন ইসলাম এবং আল আমিন নামে দুজন। পরে দ্বীন ইসলামকে জীবিত এবং আল আমিনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একই বছরের ২৬ এপ্রিল শ্রীলংকাগামী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় আকতার আলী নামে এক ব্যক্তিকে। ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর মালেশিয়াগামী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় মোহাম্মদ রিপন নামে এক যুবককে। শিপিং এজেন্টস অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘খালি কনটেইনার জাহাজে তোলার আগে একাধিকবার নিরাপত্তা তল্লাাশ করা হয়। যারা এ দায়িত্ব পালন করেন, তাদের তল্লাশিতে গাফিলতি আছে। তাই তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।’

সর্বশেষ খবর