বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণ আন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি বিএনপি : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণ অভ্যুত্থান নয়, বিএনপি গণ আন্দোলনের ঢেউও তুলতে পারেনি। আন্দোলন শুধু তাদের নেতাদের মধ্যে সীমিত। গতকাল সকালে ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বকশীবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউটশন ও ডক্টর    শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে গণ অভ্যুত্থানে শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের বেদিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বিএনপি অভ্যুত্থানের কথা বলে। তাদের যে আন্দোলন এটা তাদের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন, এখানে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আরও বলেন, এ ভূখন্ডের ইতিহাসে গণ অভ্যুত্থান হয়েছিল বাস্তবে একটি- সেটি ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান। ’৯০-এর আন্দোলন ছিল গণ আন্দোলন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছিলাম।’ দুর্ভাগ্য আজ বিএনপি এই দিন স্বীকার করে না, এ ঐতিহাসিক দিনগুলো পালন করে না। ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস তারা পালন করে না। ১০ জানুয়ারি তারা পালন করে না। ২৪ জানুয়ারি গণ অভ্যুত্থান দিবস ছিল, স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। এ ঐতিহাসিক মাইলফলককেও তারা অস্বীকার করে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে বলে জানিয়ে কাদের বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সব আসনে ইভিএম চেয়েছিলাম। এবারের নির্বাচনেও আমরা সব আসনে ইভিএমের দাবি করেছি। এখন ইসি যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নেব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬৯টি আসনের মধ্যে দুটি ছাড়া ১৬৭টি আসনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। এই বিজয়ী দলকে পাকিস্তান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করায় বঙ্গবন্ধু এক দফায় চলে যান, তা হলো স্বাধীনতা। আজ অনেকেই স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করে। কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারও ছিল না। তিনি বলেন, অন্যরা স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ছিল। এটা হলো বাস্তবতা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, অসীম কুমার উকিল, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সায়েম খান, হাজি সেলিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর