সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বান্দরবানে ‘কেএনএফ’ সদস্যের লাশ উদ্ধার

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্যের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের আর্থাপাড়া এলাকা থেকে কেএনএফের পোশাক পরা ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও কেএনএফের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ শনিবার পাইন্দু ইউনিয়নে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষের পর প্রথমবারের মতো কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।

এদিকে সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কে ওই এলাকার বম ও মারমাদের পাঁচটি পাড়া থেকে লোকজন অন্যত্র চলে গেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। এ পাড়াগুলো হলো- পাইন্দু ইউনিয়নের হ্যাপিহিলপাড়া, বাসত্লাংপাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়ামপাড়া ও মুয়ালপিপাড়া।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আর্থাপাড়া ও বাসত্লাংপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দলের ওপর গতকাল দুপুরে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে কেএনএফের সদস্যরা পালিয়ে যান। রবিবার সকাল থেকে সেখানে তল্লাশির এক পর্যায়ে আর্থাপাড়া এলাকা থেকে  কেএনএফের পোশাক পরা এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে একটি দোনলা কার্তুজ বন্দুক ও ৭০টি গুলি পাওয়া গেছে।

আর্থাপাড়া রুমা উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পাইন্দু ইউনিয়নে অবস্থিত। পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে হ্যাপিহিলপাড়া, বাসত্লাংপাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়ামপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের গোলাগুলি চলছিল। গতকাল দুপুরে বাসত্লাংপাড়া ও আর্থাপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একদল কেএনএফ সদস্য হামলা করেন। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যান। এ সময় গুলিতে একজন কেএনএফ সদস্য নিহত হন। গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে পাড়ার  লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন ও ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের সদর দফতর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেএনএফের অত্যাচার ও নির্যাতনে পাড়াগুলো থেকে বম ও মারমা বাসিন্দারা বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা রুমা উপজেলা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ভবনে অবস্থান করছেন। আশ্রিত পরিবারগুলোকে  সেনাবাহিনী খাবার, শীতবস্ত্র, চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর