শিরোনাম
শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আশা জাগছে শেয়ারবাজারে বাড়ছে সূচক ও লেনদেন

লেনদেন ১৫০ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় ৭০০ কোটি

আলী রিয়াজ

আশা জাগছে শেয়ারবাজারে বাড়ছে সূচক ও লেনদেন

ব্যাপক পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে শেয়ারবাজার। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে সব ধরনের সূচক ও লেনদেন উত্থান হয়েছে। গত ডিসেম্বরে যেখানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের

(ডিএসই) দেড়শ কোটি টাকার ঘরে ছিল। এখন ৫০০ কোটি টাকার বেশি। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে

(সিএসই) লেনদেন বেড়ে সাড়ে ১০ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে। শেয়ারবাজারে লেনদেনসহ সব ধরনের সূচক বৃদ্ধিতে আশা জাগছে বিনিয়োগকারীদের। এতে বাজারে লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তাও বাড়ছে।

চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারে লেনদেন ছিল মন্দা। একই সঙ্গে সূচকেও ছিল নিম্নগতি। শেয়ারবাজার সেই মন্দা লেনদেন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বছরের শুরুর দিকে ডিএসইর দেড়শ কোটি টাকার লেনদেন বর্তমানে ৭০০ কোটি টাকার কাছাকাছিতে চলে এসেছে। এরই মধ্যে বেড়েছে সব ধরনের সূচকও।

এই ধরনের অবস্থা সিএসইতেও রয়েছে। বৃদ্ধির বিষয়টি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শেয়ারবাজারের উত্থান ধরে রাখতে নীতি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ডিলারদের ঋণের প্রভিশনে শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে এ ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ প্রভিশন রাখতে বলা হয়েছে। এতদিন ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের ব্যাংক ঋণের নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) ২ শতাংশ রাখার নিয়ম ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা জারি করে এ সহায়তার কথা ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এ নির্দেশনা আগামী ৩০ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এক মাসের ব্যবধানে ডিএসইতে সূচক বেড়েছে প্রায় দেড়শ পয়েন্ট। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ ছাজার ১৭৭ পয়েন্ট। সর্বশেষ সূচকের অবস্থান ৬ হাজার ২৯৪ পয়েন্ট। এ সময় ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ২ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ তা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকায়। সপ্তাহের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়। যা আগের দিনের চেয়ে ১১০ কোটি টাকার বেশি। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স শেষ দিনে ১৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়েছে। এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৭৭ পয়েট ও ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২৩০ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে ও ১ হাজার ৩৭৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাজার কিছুটা গতি পেয়েছে। তবে বাজার লেনদেন বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। এখনো দেখা যায় বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় না। এটা ফ্লোর প্রাইসের কারণে। ফ্লোর প্রাইস ধীরে ধীরে উঠিয়ে দেওয়া উচিত। বাজার নতুন বিনিয়োগ আসছে। এটা আশার খবর। সামনে আরও ভালো হবে বলেই মনে হয়।’

 

সর্বশেষ খবর