সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘনবসতিপূর্ণ দেশে প্রভাব বেশি পড়ছে

----- ড. মো. জিল্লুর রহমান

ঘনবসতিপূর্ণ দেশে প্রভাব বেশি পড়ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সার্বিকভাবে মানসিক বিষণ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সবদিকে ক্রমেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণ সবকিছু মিলিয়ে পৃথিবী এখন ভালো অবস্থানে নেই। আর পৃথিবীর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ যেসব দেশে সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই দেখা দিচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ছে। এর ফলে মানসিক বিভিন্ন রোগ যেমন- বিষণ্ণতা  ও উদ্বিগ্নতা হতে পারে। এটিও জনস্বাস্থ্যের মধ্যে পড়ে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেলে খাবার পানির বিশুদ্ধতা নষ্ট হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফসল ও শস্যের ক্ষতি হয়। জমির উর্বরতা কমে যায়। এতে আমাদের খাদ্য ও শস্য উৎপাদন কমে যাবে। একই সঙ্গে পানিবাহিতও বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে, যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আবার জলবায়ু পরিবর্তনে শহর এলাকায় বাতাসের মানও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।  জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুটোই আছে। এর মধ্যে মানবসৃষ্ট কারণগুলো কমানো সম্ভব। যেমন কার্বন নিঃসরণ কমানো গেলে পৃথিবীর উষ্ণতা কমানো সম্ভব। এটি হচ্ছে মিটিগেশন আর যা আমরা কমাতে পারব না তার সঙ্গে আমাদের খাপ খাওয়াতে হবে। একে বলে অ্যাডাপটেশন। এখন আমাদের অ্যাডাপটেশন নিয়ে কাজ করতে হবে। আর কার্বন যাতে কম নিঃসরণ হয় এ ধরনের জিনিসের ব্যবহার কমাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।

সর্বশেষ খবর