বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক মাস পর উৎপাদনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

জিন্নাতুন নূর, রামপাল (বাগেরহাট) থেকে

এক মাস পর আজ আবারও উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। কয়লা সংকটে উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এক মাস বন্ধ ছিল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আসে। আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আসার কথা রয়েছে। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন ৫ হাজার টন কয়লা।

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই কেন্দ্রের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। এর উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছিল ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম গতকাল বলেন, ‘কয়লা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় আমরা আজ থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু করতে যাচ্ছি। ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি কয়লাবাহী জাহাজ এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কয়লা আমদানিতে এলসি পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।’ আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে যে জাহাজটি এসেছে, তা দিয়ে মাত্র ছয় দিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালানো যাবে। কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার মেট্রিক টন। পরবর্তীতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লাবাহী জাহাজটি এলে সেটি দিয়ে কেন্দ্রটি আরও ১০ দিন চালানো যাবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জেটিতে ভিড়তে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’

 

 

সর্বশেষ খবর