বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্রকলি চাষে সফল কৃষক

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ব্রকলি চাষে সফল কৃষক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রথমবারের মতো ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কৃষক কালাম মোড়ল। তার খেতজুড়েই সবুজ সমাহার। এ অঞ্চলে নতুন ফসল উদ্ভাবন করায় হাসি ফুটেছে ওই কৃষকের মুখে। সঠিক পরিচর্যা ও রোগবালাই না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে এই কৃষক তার ৫০ শতক জমিতে ব্রকলি চাষ করেন। এতে খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। তবে ব্রকলি চাষ লাভজনক। সময় মতো খেতের ফসল বিক্রি করতে পারলে কৃষক লাভবান হবেন- এমনটাই জানিয়েছেন ব্রকলি চাষি। এর মধ্যে অনেক কৃষক তার সফলতা দেখে এরই মধ্যে এ নতুন ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ব্রকলি আকার আয়তন ও দেখতে ফুলকপির মতো হলেও পাতা ও ফুলগুলো গাঢ় সবুজ। আর চাষের পদ্ধতি বাঁধা বা ফুলকপির মতোই। লবণাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ করা যায় এমন ধারণাই ছিল না এ অঞ্চলের কৃষকদের। এ এলাকায় ব্রকলির তেমন চাহিদা না থাকলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চাষি কালাম জানান, তাকে অনেকেই বলেছেন লবণাক্ত জমিতে ব্রকলি হবে না। তাদের কথা উড়িয়ে দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রকলি চাষ করেছেন। এতে তেমন খরচও হয়নি। কৃষি অফিস থেকে প্রথমে বারবারা জাতের বীজ সংগ্রহ করে তা বপন করলে এ থেকে খুব সুন্দরভাবেই অঙ্কুর হয়। এর পর মাছের ঘেরের পাড়ে প্রায় ২ হাজার চারা রোপণ করেন। ভালো ফলন হবে তা তিনি আশা করেননি। তার সফলতা দেখে একই গ্রামের কৃষক সালাম মিয়া জানান, কল্পনাও করিনি লবণাক্ত জমিতে ব্রকলি চাষ করা যায়। প্রথমবারের মতো কালামের খেতে ব্রকলির ফলন ভালোই হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, কৃষি অফিসের সহায়তায় ব্রকলি চাষে সফল হয়েছেন কালাম মোড়ল। তার দেখাদেখি আরও কোনো কৃষক ব্রকলি চাষে আগ্রহী হলে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং পরামর্শ দেওয়া হবে। আশা করছি এ উপজেলায় ব্রকলি চাষের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর