একুশের বইমেলা চলবে আর মাত্র কয়েক দিন। শেষ সময়ে জমে উঠেছে বই বিকিকিনি। বইপ্রেমীদের আগমন, স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে বই কেনায় শৈল্পিকতা ফুটে উঠেছে মেলাজুড়ে। গতকাল ২৩তম দিনে ছিল যেন বই কেনার প্রতিযোগিতা।
সুন্দরের এই প্রতিযোগিতা এবারের মেলাকে সফলতার পথে একধাপ এগিয়ে রেখেছে। দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের হাতে হাতে বই দেখে ফুটে উঠেছে একুশের চেতনা। এদিন বেশি বিক্রি হয়েছে উপন্যাস, সায়েন্সফিকশন, মোটিভেশন ও গল্পের বই। ঐতিহ্য প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল বলেন, এবারের মেলা বিগত বছরগুলোর সব সফলতাকে ছাড়িয়ে যাবে। মানুষ যতই ডিজিটাল হোক আর যতই বিশ্বায়ন হোক বইয়ের প্রতি বাঙালির অমোঘ আকর্ষণ এবারের মেলাতেও লক্ষ্য করা গেছে। আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম তার চেয়ে বেশি প্রাপ্তি ঘটেছে। কথা হয় নতুন লেখিকা রওনক বিশাকা শ্যামলীর সঙ্গে। মিজান পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তার প্রথম উপন্যাস ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’-এ ক্রেতাদের অটোগ্রাফ দিতে দিতে তিনি বলেন, শুনেছিলাম নতুন লেখকদের বই চলে না। কিন্তু আমার বইটি পাঠকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। প্রমাণ করেছে ভালো বই হলে লেখক নতুন বা পুরনো কোনো বিষয় নয়। আজ মেলার শেষ শুক্রবার। সকাল ১১টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। আজ মেলায় বইপ্রেমীদের ঢল নামবে বলে আশা করছেন প্রকাশকরা।
নতুন বই : বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্য মতে, গতকাল ২৩তম দিনে মেলায় নতুন বই এসেছে ৭৮টি। এ পর্যন্ত নতুন বই এসেছে ২৭২৮টি।
মূল মঞ্চ : বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক কথাসাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র এবং জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণা ও মুক্তগদ্য চচা’ শীর্ষক আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিল্টন বিশ্বাস এবং ফরিদ কবির। আলোচনায় অংশ নেন রফিকুর রশীদ, সুভাষ সিংহ রায়, সরিফা সালোয়া ডিনা, মাসুদ পথিক। সভাপতিত্ব করেন গোলাম কুদ্দুছ। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্কর রাশা, দুলাল সরকার, কামরুজ্জামান, রাজীব কুমার সাহা, মাহবুবা ফারুক, আতিক আজিজ। আরও আবৃত্তি করেন শফিকুল ইসলাম বাহার, চৌধুরী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জিনিয়া ফেরদৌস রুনা এবং অনন্যা সাহা। আরও অংশ নেয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঘাসফুল’, ও ‘সম্প্রীতি সংস্কৃতি সংসদ’। এককসংগীত পরিবেশন করেন ঝুমা খন্দকার, চঞ্চল খান, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, অণিমা রায়, মঞ্জু সাহা, মিরা মণ্ডল, আশরাফ মাহমুদ।