সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
খুনোখুনি চলছে প্রকাশ্যেই

ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর তেজগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতার জের ও ছিনতাই করা মোবাইল বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন ফারুক হোসেন। গতকাল রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার ও মোল্লাবাড়ী বস্তি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন সাব্বির ওরফে সিটু সাব্বির ওরফে সাগর (২৩), মো. রনি (২৬) ও মো. বিজয় (৩৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে  হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ও ১০টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক?। তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার পর তেজগাঁও থানার পানি ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে পূর্ব পরিচিত রনির সঙ্গে ভিকটিম ফারুক হোসেন আড্ডা দিচ্ছিলেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ভিকটিম ফারুককে রনি ও বিজয় কৌশলে বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসেন। পরে তাদের সঙ্গে আড্ডায় যুক্ত হন মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম। এইচ এম আজিমুল হক? বলেন, ফারুকের সঙ্গে গ্রেফতারদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। সাদ্দাম এক বছর কারাভোগের পর দুই দিন আগে জামিনে মুক্ত হন। এর মধ্যে তিনি ১২টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন ছিনতাই করেন। পরে ভিকটিম ও গ্রেফতাররা ছিনতাই করা মোবাইল ফোন বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা উদযাপন করতে মদ পানের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাদ্দাম বার থেকে মদ আনেন। নিজেদের মধ্যে মদ ভাগাভাগির সময় ভিকটিম ফারুকের সঙ্গে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। ছিনতাই করা মোবাইল ফোন বিক্রির বিষয়ে নিজেরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সাদ্দাম নিজের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ফারুকের বাম পায়ের ঊরুতে আঘাত করে পালিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় ফারুক ফুটপাতে পড়ে থাকেন। পরে স্থানীয়রা ফারুককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর