ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী, মহাখালী ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল খাদ্য ও কসমেটিক্স উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় ১০ প্রতিষ্ঠানকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল র্যাব-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম ও র্যাব-১০ এবং বিএসটিআইর প্রতিনিধির সমন্বয়ে আভিযানিক দল ঢাকার যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালায়। অন্যদিকে র্যাব-১ এর একটি দল রাজধানীর মহাখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। দুটি অভিযানেই নানা অপরাধের বিষয় উঠে এলে উপস্থিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থাপন করেন।
জানা গেছে, বিএসটিআইর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল শিশু খাদ্য, কসমেটিক্স এবং অবৈধ ও মানহীন গিজার উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে জালাল এন্টারপ্রাইজকে ২ লাখ ৫০ হাজার, হুওয়াং কেমিক্যালকে ২ লাখ ৫০ হাজার, জেনারেল কেবলসকে ৩ লাখ, এমআরএস কেবলসকে ৫ লাখ টাকা, ইলেকট্রিক ভিশনকে ১ লাখ, বিআরবি কনজিউমারকে ২ লাখ টাকা ও মেট্রো কনজিউমারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ লাখ টাকা মূল্যের নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল খাদ্য ও কসমেটিক্স জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।
র্যাব-১০ এর অপারেশন্স অফিসার এনায়েত কবীর সোয়েব জানান, আমাদের কাছে খবর ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই এই অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল বৈদ্যুতিক তার, ভেজাল খাদ্য ও কসমেটিক্স উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছে। আমাদের এ ধরনের অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। এদিকে গতকাল রাজধানীর মহাখালী এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করার অপরাধে ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট এবং নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্টকে পৃথকভাবে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাব সদর দফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় র্যাব-১ এর আভিযানিক দল এবং ডিএনসিসির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। র্যাব-১ জানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করে আসছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৩৮/৫২, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩-এর ৩৯ ধারা মতে এই অভিযান চালায় এবং পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। আদালত ঘরোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার, ক্যাফে বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা, নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।