সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বরিশালে এমপির সামনেই সংঘর্ষ

স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত

প্রতিদিন ডেস্ক

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনকে কেন্দ্র করে গতকাল বিভিন্ন স্থানে হাঙ্গামা ঘটেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বরিশাল : উজিরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় অনেকটা অসহায় অবস্থায় নির্বাক দাঁড়িয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি মো. শাহে আলম। পরে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জানা গেছে, উজিরপুরে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি মো. শাহে আলম। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবালের সঙ্গে আরেক সহসভাপতি ইদ্রিসের বাদানুবাদ হয়। এ নিয়ে একপর্যায়ে ইদ্রিস বালীর ওপর হামলা চালায় ইকবালের অনুসারীরা। ইদ্রিস বালীর অনুসারীরা প্রতিরোধ করলে উভয় গ্রুপ হাতাহাতি এবং কিলঘুসিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে অনুষ্ঠান সাময়িক ব্যাহত হয়। এমপির উপস্থিতিতে এ সংঘর্ষ ঘটলেও তিনি ছিলেন নির্বাক।

উজিরপুর থানার ওসি কামরুল হাসান জানান, আওয়ামী লীগের দুই নেতার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে পৌর শহরে মিছিল  বের করলে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।

পুলিশ, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহান স্বাধীনতা দিবসে দুর্গাপুর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এ সময় কাচারি মোড়ে পুলিশ বাধা দিলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারমুখী আচরণ ঠেকাতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। সেই সঙ্গে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে তারা।

বগুড়া : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটেছে। সকাল ৬টায় শেরপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির নেতা ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় শেরপুর উপজেলা শহরের স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ কর্মিসভা ডেকে উপজেলা ছাত্রলীগের ১৩ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে গালিব সরকার ও সাধারণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির ড্যানির নাম রাখা হয়। এ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পদ পাওয়া নেতারা যেমন অভিনন্দনে ভাসছেন তেমনি দলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতা-কর্মী এবং তাদের সমর্থকরা তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন। ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ ও পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে ছাত্রলীগকে রক্ষায় অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন নিয়ে শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ও পদবঞ্চিতরা পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে দুই দলের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।

সর্বশেষ খবর