শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া সালাম ব্রাদার্স

খেলা নেই সবুজ সংঘে, চলে রাতভর জুয়া-মাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেলা নেই সবুজ সংঘে, চলে রাতভর জুয়া-মাদক

খেলা নেই। তবু দিনে-রাতে জমজমাট রাজধানীর ইস্কাটন সবুজ সংঘ। বিশেষ করে রাত ১০টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলে জুয়া। প্রতিটি জুয়ার টেবিল থেকে রাখা কমিশনের প্রায় পুরোটাই চলে যায় সালাম ব্রাদার্সের পকেটে। কেবল জুয়ার কমিশনই নয়, ইস্কাটন এলাকার চাঁদাবাজি, সাপ্লাই, মাদক, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স-বাণিজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক তারা। অপরাধ-সাম্রাজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে সালাম ব্রাদার্স তাদের আয়ের বড় একটি অংশ পৌঁছে দেয় পৃষ্ঠপোষকদের কাছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।’ সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ইস্কাটন রোডের একপাশ দখল করে বসেছে অর্ধশতাধিক মাছের দোকান, ১৭৫টি কাঁচা সবজির দোকান, ১৫টি মুরগির দোকান ও কয়েকটি মাংসের দোকান। প্রতিটি মাছের দোকান থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করা হয় ৪০০ টাকা করে। তরকারির দোকান থেকে ১৫০ এবং মুরগি ও মাংসের দোকান থেকে দৈনিক ৫০০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। এ ছাড়া মুরগি ও মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অগ্রিম নেওয়া হয়েছে। মগবাজার মোড় থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত রাস্তার ফুটপাতে বাজার বসিয়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। স্থানীয় সূত্র বলছে, পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম ও তার ভাই হালিমের একচ্ছত্র বাণিজ্য। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা, গাড়ির শোরুমে চাঁদাবাজি, মোটরসাইকেল গ্যারেজের নিয়ন্ত্রণ, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার চাঁদাবাজিসহ আরও অসংখ্য অভিযোগ। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, সালামের নির্দেশে এলাকাজুড়ে মাদক ও চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দেন হালিম, রাজ্জাক, মহসিন, শাহ আলম, ইসহাক। সালামের হয়ে কাজ করেন গাজী বিল্লাল নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাও। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আমি সবুজ সংঘে যাই না। সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’ আওয়ামী লীগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার বলেন, ‘সালামের ভাইদের অপকর্মের বিষয় তো এলাকায় ওপেন সিক্রেট। রাজনীতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে হাইকমান্ড অবহিত। তার পরিবারের অনেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’ ভুক্তভোগীরা জানান, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে বাইরের কোনো অ্যাম্বুলেন্স রোগী বহন করতে পারে না। রোগী ও লাশের গন্তব্য অনুপাতে অ্যাম্বুলেন্সপ্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হয় এই চক্রকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর