শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মরুভূমিতে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন বাংলাদেশিও

প্রতিদিন ডেস্ক

আফ্রিকার নাইজারে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢল নেমেছে। ইউরোপ যাওয়ার জন্য নিজের দেশ ছেড়ে তারা নাইজারের তপ্ত মরুভূমিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে যারা একটু শক্তসামর্থ্য, তারা এগিয়ে যাচ্ছেন আর দুর্বলেরা পিছিয়ে পড়ছেন। আলজেরিয়া থেকে বের করে দেওয়া শত শত অভিবাসী নাইজারের সীমান্তবর্তী এলাকা আসামাকায় জড়ো হন।

এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী দেশটির সীমান্ত এলাকায় ভিড় করেছেন। তাদের মধ্যে মালি, আইভরি কোস্ট, সিরিয়া এবং বাংলাদেশি নাগরিক আছেন। ইউরোপে যাওয়ার আশায় এসব মানুষ ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মরুভূমি পাড়ি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত ট্রানজিট সেন্টার বিপুলসংখ্যক মানুষকে সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দিতে পারছে তারা। মানুষের চাপে আসামাকার পানির ট্যাংক শেষ হয়ে যাওয়ার পথে। খাদ্যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মরুভূমির তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়শিবিরও নেই। ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী দেয়াল ও ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দাবি, ইউরোপ যাত্রার আশায় আলজেরিয়া থেকে বের করে দেওয়ার আগে তাদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কপর্দকহীন এসব মানুষের হাতে বাড়ি ফেরার মতো অর্থ নেই। এমনকি স্বজনদের ফোন করবেন, এমন সামর্থ্যও নেই তাদের। ফলে মরুভূমির মধ্যে উন্মুক্ত কারাগারের মধ্যে মাসের পর মাস কাটাতে হচ্ছে।

আইভরি কোস্টের নাগরিক আবদুল করিম বামবারা বলেন, ‘এখানে পৌঁছার পর আমাদের বলা হলো যে আমরা আইওএম স্বীকৃত অভিবাসী নয়। তাই বাড়ি ফিরতে হলে আমাদের টাকা দিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর