শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছুটির দিনে জমজমাট ঈদবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছুটির দিনে জমজমাট ঈদবাজার

রাজধানীবাসী এখন পুরোদমে ব্যস্ত ঈদের কেনাকাটায়। গতকাল ছুটির দিনে ঢাকার শপিং মলগুলোতে ছিল ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সব বয়সী ক্রেতা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঈদের কেনাকাটা করেছেন। ঈদের বাকি আর দুই সপ্তাহ। শেষের দিকের ভিড় এড়াতে ক্রেতাদের অনেকেই কেনাকাটার কাজ সেরে নিয়েছেন। আবার সপ্তাহখানেক পর পয়লা বৈশাখ হওয়ায় সব শ্রেণির ক্রেতা গতকাল শপিং মলে ভিড় জমান।

ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ক্রেতার সরব উপস্থিতি ছিল। বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করেন বিক্রেতারাও। বিকালের দিকে নগরীর শপিং মলগুলোর সামনের রাস্তায় শপিং করতে আসা ক্রেতাদের চাপে যানজট সৃষ্টি হয়। শপিং মলের বাইরে ফুটপাতকেন্দ্রিক দোকানগুলোতে ক্রেতার চাপে পা রাখার জায়গাও ছিল না। ইফতারের পর এই ভিড় আরও বৃদ্ধি পায়।

গতকাল সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটে আসা মগবাজারের ক্রেতা সাবিনা আক্তার বলেন, ছেলেমেয়েদের জন্য পোশাক কিনেছি। নিজের জন্য শাড়ি কিনেছি। স্বামীর জন্য পাঞ্জাবি কিনেছি। জুতা, ব্যাগ এখনো কেনা হয়নি। এবার পোশাকের দাম বেশি। কিন্তু ঈদে বাড়তি দাম দিয়েও পণ্য কিনতে হচ্ছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল-১ এর ‘ব্লু ফ্যাশন’-এর শোরুমে বড় বোনের সঙ্গে ঈদের পোশাক কিনতে এসেছিল মাধ্যমিকে পড়–য়া তানজিনা হোসেন। পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক তার প্রিয়। ঈদের জন্য একটি লং স্কার্ট কিনেছে তানজিনা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, বড় আপু আর দুলাভাইয়ের সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। প্রতিবার ঈদের শপিং করতে এখানেই আসা হয়। ইফতারও এই শপিং মলের ফুড কোর্টে করব। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে আড়ং-এর আউটলেটে জুতা দেখছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিফা রহমান। তিনি বলেন, ঈদের পোশাক কেনা শেষ। এখন মিলিয়ে আড়ং থেকে জুতা আর ব্যাগ কিনব। এ ছাড়া মা-বাবার জন্য টিউশনির টাকা দিয়ে আড়ং থেকে কিছু গিফট কিনব। নিউমার্কেটের সামনেই ফুটপাতে ছোট মেয়েদের ফ্রক দেখছিলেন সিএনজি চালক দেলোয়ার। তিনি জানান, ছোট মেয়ে প্রতিদিনই ঈদের জামা কিনে দেওয়ার বায়না করে। এ জন্য আজ মেয়ের জন্য পোশাক দেখছেন। পছন্দ হলে এবং দামে মিললে কিনে নেবেন। এলিফ্যান্ট রোডে বন্ধুদের নিয়ে পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা আসাদুল কিবরিয়া। তিনি জানান, রোজার ঈদে প্রতিবারই কোনো এক শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করে বন্ধুদের নিয়ে ঈদের পোশাক কেনেন এবং ইফতার করেন। এবার তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। মেয়েদের যাদের ঈদের পোশাক ও জুতা কেনা শেষ তাদের অনেকেই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে এখন গয়না কিনছেন। কেউ খোঁজ করছেন প্রসাধনীর। গৃহিণীরা অনেকেই ঘর সাজানোর জন্য পর্দা, সোফার কাভার কিনছেন। নতুন দম্পতিরা ফ্যাশন হাউসগুলোতে মিলিয়ে পরার জন্য কাপল ড্রেস খুঁজছেন। সবমিলিয়ে ঈদ বাজার এখন পুরোপুরি জমে উঠেছে। এর সঙ্গে একমত বিক্রেতারাও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবার ১৫ বা ২০ রোজার পর ঈদের বাজার জমে উঠলেও এবার কিছুটা আগে থেকেই ক্রেতারা কেনাকাটা শুরু করেছেন। তারা আশা করছেন এবার তারা ভালো ব্যবসা করতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর