ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ঘুরে দেখলেন নরওয়ে, ব্রিটেন ও কানাডার ২২ পর্যটক। ভারতের কলকাতা থেকে পাঁচ তারকা মানের বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ এমভি গঙ্গাবিলাসে আসা এসব বিদেশি পর্যটক গতকাল সকালে মোংলার পশুর নদ থেকে জালিবোটে করে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে আসেন। বিলাসবহুল এ প্রমোদতরির ১৯ জন নরওয়ে, একজন ব্রিটিশ ও দুজন কানাডার পর্যটক তিন ঘণ্টা ধরে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের শেডে থাকা হরিণ, কুমির, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ, বাটাগুর বাচকাসহ মৃত বন্যপ্রাণীর মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি এসব পর্যটক ফুটট্রেল ঘুরে ও ওয়াচ টাওয়ারে উঠে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি উপভোগ করেন। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান বন কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য দেখে অভিভূত হন এসব বিদেশি পর্যটক। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে তিন ঘণ্টা ঘুরে দেখার পর দুপুরে তারা ফিরে যান প্রমোদতরি গঙ্গাবিলাসে। বিকালে তারা আবারও হারবাড়িয়াসহ সুন্দরবনের কয়েকটি এলাকার জীববৈচিত্র্য উপভোগ করেন। প্রমোদতরি এমভি গঙ্গাবিলাসের ট্যুর অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার এসব বিদেশি পর্যটক সড়কপথে বাগেরহাটের অন্য ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ষাটগম্বুজ মসজিদ, জাদুঘর, ঐতিহাসিক স্থান হজরত খানহাজান (রহ.)-এর মাজার ঘুরে দেখেন। ভারতের কলকাতা থেকে ১ এপ্রিল যাত্রা করা বিলাসবহুল রিভার ক্রুজ এমভি গঙ্গাবিলাসে করে এসব বিদেশি পর্যটক সুন্দরবনের আংটিহারায় ইমিগ্রেশনের পর বুধবার দুপুরে মোংলায় পৌঁছান। সুন্দরবন ভ্রমণের পর বরিশালের উদ্দেশে যাবে প্রমোদতরিটি। এরপর ১১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁ ঘুরে ১২ এপ্রিল ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন এসব পর্যটক। এরপর খালি জাহাজ ফিরে যাবে ভারতে।