শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৈসাবির উচ্ছ্বাসে ভাসছে পাহাড়

রাঙামাটি প্রতিনিধি

বৈসাবির উচ্ছ্বাসে ভাসছে পাহাড়

আজ পয়লা বৈশাখ, বাঙালির নববর্ষ। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য গ্যোজাপ্যোজার দিন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি তারা গড়াগড়ি করে পার করবেন দিনটি। সব মিলে বৈসাবির উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা পাহাড়ি অঞ্চল।

বৈসাবি অর্থাৎ বৈসুক-সাংগ্রাই-বিজু-বিষু-বিহু। পার্বত্যাঞ্চলের ১০ ভাষাভাষী ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এ বৈসাবিকে ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন করে থাকে। যেমন চাকমারা বিজু, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, আর আহমিয়ারা বিহু বলে পালন করেন। ফুলবিজু, মূলবিজু, জেলখেলিসহ তিনটি অংশে ভাগ করে রঙিন করা হয় বৈসাবিকে। গতকাল ছিল মূলবিজু অর্থাৎ বৈসাবির দ্বিতীয় উৎসব। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এ উৎসটি পালিত হয়েছে বেশ ঘটা করে, অনেকটা মুসলিমদের ঈদের মতো। এদিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নারী-পুরুষ বিগত বছরের সমস্ত গ্লানি মুছে ভালোবাসা আদান-প্রদানে পার করেছেন। নতুন জামাকাপড় পরিধান করে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে আনন্দ উল্লাসে মাতিয়ে রাখেন পাহাড়।

তবে গেল বছরের তুলনায় এবার বিজু উৎসবে ছিল কিছুটা ভিন্নতা। মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় দিনের উৎসব পালন করা হচ্ছে ইফতারের পর। সন্ধ্যা নামতেই আতশবাজির ঝলকানিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে পাহাড়। পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে চলেছে বন্ধুত্বপূর্ণ কুশল বিনিময়, নিমন্ত্রণ আর খাওয়াদাওয়া।

স্থানীয় পলাশ চাকমা জানান, বৈসাবি উৎসব শুরু হয় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। চলে অর্ধ মাসব্যাপী। বৈসাবিকে আনন্দ উল্লাসে রূপ দিতে আয়োজন করা হয় নানা কিছুর। বছর ঘুরে বৈসাবি এলেই উৎসবে মেতে ওঠে পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বৈসাবি পালন করা হয় অনেকটা জাঁকজমকভাবে। বৈসাবিতে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, আনন্দের অংশীদার হয় বাঙালিও।

সর্বশেষ খবর