বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। সরকার সমাজকে বিভক্ত করেছে। রাষ্ট্রকে ধাক্কা দিয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। অনেক সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেল খাটছেন। অথচ সাংবাদিকরা এক হয়ে লড়াই করার কোনো সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে গণবিচ্ছিন্ন সরকার বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। অনেকে জেলে আছেন। এদের আমলে ৫৪ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সাগর-রুনি হত্যার এখনো বিচারই শুরু হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের পরিচালনায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভয়াবহ দানবকে রুখতে না পারলে রাষ্ট্র ধ্বংস হয়ে যাবে। আলেম-ওলামারা পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছেন না।

 তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। তার যে অবস্থা এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার তৈরি করেছে ইতিপূর্বে আর কখনো আমরা এমনটি লক্ষ্য করিনি। এখন আপনাদেরকে সেলফ সেন্সরশিপ করতে হয়।

আমি এবার জেলে গিয়ে দেখলাম যে, আমাদের অনেক যুবক-তরুণ, এমনকি অপরিণত বয়স্ক ছেলে, যাদের বয়স ১৮ হয়নি- তারাও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে আটক হয়েছে, জেলের মধ্যে আছে।

দেশের অবস্থাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজসহ পেশাজীবীদের আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।