সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মার্কেটে আইন মানা হচ্ছে না : ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

অগ্নিঝুঁকি এড়াতে মার্কেটগুলো আইন মানছে না। তাদের মধ্যে আইন মানার প্রবণতা কম দেখা গেছে। ফলে একের পর এক আগুন লাগছে, ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লে. 

কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট ও শপিং মলের অগ্নিঝুঁকি নিরসন এবং অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৯৫টি শপিং মল ও মার্কেট পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৬৭৪টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৮৯৭টি এবং ২৪টি সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। সম্প্রতি পরিদর্শনে ৫৮টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৯টি, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ৩৫টি। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি মার্কেট পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনে আমরা যা দেখেছি তা সন্তোষজনক নয়। পরিদর্শনের পর আমরা অনেক মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছি ও তাদের পরামর্শ দিয়েছি।

এসব মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তা আইন মানার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা দেখা গেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ মার্কেটের লোকজনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর ধারণা নেই, সেখানে অগ্নিনিরাপত্তা মহড়াও হয় না। মার্কেটে নন ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, নকশাবহির্ভূত এক্সটেনশন, মার্কেটের দোকানে গাদাগাদি করে কার্টনে মালামাল রাখা, নিয়ম না মেনে মার্কেটের দোকানের ভিতর রাত্রিযাপন, ধূমপান করা, গ্যাস ব্যবহার করে খাবার রান্না করার কারণে আগুন লাগছে। আমরা মার্কেটের মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এ বিষয়ে ধারণা দিচ্ছি। তিনি বলেন, নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন। তবে নিউ সুপার মার্কেটটি আমাদের তালিকায় ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে মার্কেটের ভিতরে পর্যাপ্ত পোশাক রাখা হয়েছিল। সিঁড়ির ওপরে দোকান, এলোমেলো বৈদ্যুতিক তার, ওভার হিটের কারণে দিনভর এসি চলাসহ বিভিন্ন কারণে নিউ সুপার মার্কেটের আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতিকে আমরা বলতে চাই, আপনারা মার্কেটের বিভিন্ন পয়েন্টে সারা রাত নিজস্ব লোক নিয়োগ দিন। এতে করে যে শুধু নাশকতা রোধ করা যাবে তা নয়, বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা বেশি, যদি অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মার্কেটের কোনো দাহ্য পদার্থে আগুন লাগে তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নেভাতে কাজ করবে।

সর্বশেষ খবর