শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিটি ভোটে সরব প্রার্থীরা

খালেক-মঞ্জু বাগযুদ্ধে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

২০১৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সাবেক মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ওই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও এবার ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।

তবে ভোটের মাঠে না থাকলেও বিভিন্ন ইস্যুতে নিয়মিতই বাগযুদ্ধে জড়াচ্ছেন দুই দলের হেভিওয়েট দুই নেতা। বিএনপির সিটি নির্বাচনে না আসাকে ‘কাপুরুষতা’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও মহানগর সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে আসে না তারা কাপুরুষ। যাদের সংগঠন নেই, যারা দুর্বল, তারাই নির্বাচনে আসে না।’

গতকাল নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুস্থদের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ শেষে সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে নির্বাচন জমজমাট হয়। সে জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানাই- তারা নির্বাচনে আসুক এবং জনমত যাচাই করুক। তারাও (বিএনপি) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তারা খুলনার জন্য কী করেছে আর আমরা কী করেছি এটা যাচাই-বাছাই করে একমাত্র জনগণই সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক। আগামী নির্বাচনে জনগণ তা বিবেচনা করবে এটাই আমি আশা করি।’

এদিকে ‘বিএনপি কখনো নির্বাচনে ভয় পায় না’ উল্লেখ করে বিএনপির সাবেক মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘খুলনা হচ্ছে বিএনপি’র ঘাঁটি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চিত্র ছিল ভিন্ন। মানুষকে ঘরে আটকে রেখে, ভোট কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে আমার সব নির্বাচনী এজেন্টকে বাড়িছাড়া করে, গণগ্রেফতার করে ভয় দেখিয়ে এবং নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতিতে খুলনা মডেল তৈরি করা হয়েছে। যারা এই ভোট ডাকাতি করে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের মুখে কোনো চ্যালেঞ্জ মানায় না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- চ্যালেঞ্জ তখনই হবে যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোট দিতে পারলেই জানা যাবে-কারা জনপ্রিয় আর কারা জনপ্রিয় নয়।’

জানা যায়, ২০১৮ সালের কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর