আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলার অনুমতি। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেন, ঈদ উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল করবে। তবে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। যেমন সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে, সেতুর ওপরে গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই লেন পরিবর্তন করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, আশা করি যারা সেতুতে মোটরসাইকেলে আসা-যাওয়া করবেন তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। যদি তাদের শৃক্সক্ষলাবোধ ও দায়িত্বশীলতার অভাবে কোনো ধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় তাহলে পদ্মা সেতুতে আবারও মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে পদ্মা সেতুতে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৯ মাস বন্ধ থাকার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আবারও মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল ৫টা ৫৫ মনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজা থেকে শুরু হয় সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল। পদ্মা সেতু উত্তর থানা মোড় থেকে সারিবদ্ধভাবে টোল প্লাজায় পৌঁছে নির্ধারিত টোল দিয়ে সেতুতে উঠছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ডেডিকেটেড লেনসহ মাওয়া টোল প্লাজার দুটি বুথ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টোল। অন্যদিকে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে মোটরসাইকেল পারাপারে দুটি ফেরি থাকলেও তা কমিয়ে একটি ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকায় সেতুর টোল প্লাজার টোল নেওয়ার ধীরগতির কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। তারপরও পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। পদ্মা সেতুর সুফলে এই প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরে নেই ঘাটে বসে থাকার বিড়ম্বনা।