প্রচন্ড দাবদাহে টগবগ করে ফুটছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ। কোথাও ৪০ ডিগ্রি কোথাও তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একটু ঠান্ডার খোঁজে কেউ বেরিয়ে পড়েছেন দার্জিলিং, কেউবা দীঘা ও পুরীর সমুদ্র সৈকতে। কেউ আবার নিজেকে নিয়ে একবারেই চিন্তিত নয়, বরং তার ব্যবহৃত গাড়িটি কিভাবে ঠান্ডা থাকবে তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। আর তা করতে গিয়েই মজার এক ঘটনা ঘটিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক ব্যক্তি। রাজ্যটির হুগলি জেলার উত্তরপাড়া বাসিন্দা সুভাষ দাস নামে ওই ব্যক্তি নিজের গাড়ি ঠান্ডা রাখার জন্য পুরো গাড়ির উপরেই গোবরের প্রলেপ লাগালেন। আবার এই কাজ করে জোর গলায় দাবিও করেছেন যে এতে নাকি গাড়ি ঠান্ডা থাকে এবং গাড়ির ওপর লাগানো গোবর প্রলেপ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (এসি) যোগ্য বিকল্প। তাহলেই ভাবুন! সাদা রঙের সুন্দর একটি গাড়ির সারা গায়ে গোবর লাগিয়ে কেন এই কুৎসিত ‘লুক’ দিয়েছেন, সে প্রশ্নের উত্তর দিতেও এক সেকেন্ড দেরি করলেন না সুভাষ। গতকাল সুভাষ দাস জানান, বর্তমান সময়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সৌজন্যে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। যদি পেট্রোল ডিজেল দিয়ে গাড়ির ভিতর এসি চালান, সেক্ষেত্রে তার খরচ উনি বহন করতে পারবেন না। সে কারণে উনি একটি অভিনব উপায় বের করেন, যাতে ভীষণ তাপ প্রবাহের মধ্যেও উনি যদি নিজের গাড়িতে চেপে রাস্তায় বের হন তাহলে তার কারটি ঠান্ডা থাকবে এবং তিনিও গরমের সম্মুখীন হবেন না।’ ‘গরু দুধে সোনা পাওয়া যায়’ অদ্ভুত এই দাবি করে কয়েক বছর আগে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার ওই মন্তব্যের পর গরুর দুধে কেউ সোনা পেয়েছিলেন কিনা জানা নেই। কিন্তু সে সময় দিলীপের ওই মন্তব্য মনে ধরেছিল সুভাষের। কার্যত তখন থেকেই সুভাষ ভাবছিলেন যে বহু উপযোগী স্তন্যপায়ী প্রাণী গরু থেকে যে যে জিনিস পাওয়া যায় তা দিয়ে তিনিও একদিন নিজের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন। অবশেষে সেই কাজই করলেন সুভাষ। তবে নতুন এই অদ্ভুত লুকে সুভাষ তার গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোবেন কিনা, এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।