মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছয় জেলায় বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু

প্রতিদিন ডেস্ক

ছয় জেলায় বজ্রপাতে তিন শিশু ও তিন কিশোর এবং এক শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জে ৬, সিলেটে ৪, মৌলভীবাজারে ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা ও সাতক্ষীরায় একজন করে নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। রবিবার বেলা ১১টার দিকে জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, বজ্রপাতে ছাতকে তিনজন, দোয়ারাবাজারে দুজন ও তাহিরপুরে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই পেশায় কৃষক। তাদের মধ্যে তিনজন কিশোর। তারা সবাই নিজ নিজ এলাকার হাওরে ধান কাটার সময় নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মিলন মিয়া (১৪) ও তারা মিয়া (৩৫), ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬৫)।

ছাতক উপজেলায় বজ্রপাতে নিহতরা হলেন, জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়কাপন গ্রা?মের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মোহাম্মদ আরশ আলী (৬২), দেবেরগাঁও, গ্রা?মের হুছাম উদ্দিনের ছেলে মহিম উদ্দিন (১৭), চরমহল্লা ইউনিয়নের চরদুলভ গ্রা?মের মোস্তফা মিয়ার ছেলে আবদুস সামাদ (২৬)।

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বজ্রপাতে নিহত হন হাসেম আলীর ছেলে রমজান আলী (১৬)। তিন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বজ্রপাতে ছয়জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট : সিলেটে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিন শিশুসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত রবিবার সকাল ১১টায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় বজ্রপাতে আনছার আলী (৭০) নামের এক কৃষক বজ্রপাতে মারা যান। এদিকে, পৃথক বজ্রপাতে সিলেটের জৈন্তাপুরে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ১১টায় আম কুড়াতে গিয়ে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিছনাটেক গ্রামের দুই শিশু বজ্রপাতে নিহত হয়। তারা হলেন- বিছনাটেক গ্রামের সুলেমান আহমদের ছেলে নাঈম আহমদ (৮) ও মৃত দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে আঞ্জুমা বেগম (৬)। নাঈম ও আঞ্জুমা সম্পর্কে মামাতো বোন ও ফুফাতো ভাই। এ ছাড়া একইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার বেঙ্গল স্টোন ক্রাসার এলাকায় বজ্রপাতে ইমন আহমদ (১০) নামের এক শিশু মারা যায়। সে বাংলাবাজার গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে।

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় একটি গবাদিপশু মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার লালবাগ এলাকায় হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই রিয়াজ উদ্দিন নামের একজনের মৃত্য হয়েছে। এ ছাড় মাঠে গরু আনতে গিয়ে কমলগঞ্জে মঙ্গলপুর এলাকায় বজ্রপাতে সোম শব্দকর নামের একজন মারা গেছেন। এ সময় বজ্রপাতে তার একটি গরু মারা যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নবীনগরে জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে বাবুল ভূইয়া (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বিটঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল ভূইয়া বিটঘর দক্ষিণ পাড়ার মৃত শহিদ ভূইয়ার বড় ছেলে।

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমির ধান কাটার সময় বজ্রপাতে রবিকুল হাসান (৩০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন হাবুল্লাহ হাসান (২৫) নামে একজন। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। রবিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষাণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রবিকুল ও আহত হাবুল্লাহ একই গ্রামের আবদুস কুদ্দুসের ছেলে।

এদিকে বজ্রপাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সাতক্ষীরার নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মহসিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ৩০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।

সর্বশেষ খবর