মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিষাক্ত মদে ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত মদপানে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র সিফাতুল আলম সিপুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোর রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন এবং দুপুরে আরও একজন মারা যান। এ ছাড়া একই কান্ডে আরও দুজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ভেড়ামারা উপজেলার রকিবুল আলমের ছেলে সিফাতুল আলম সিপু (২৭), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে শাহিন (৪৭), মিরপুর উপজেলার মশান বারুইপাড়া গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে মো. রতন (২১), একই এলাকার খলিলের ছেলে সবুজ (২৪)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার বলেন, রবিবার রাতে বিষাক্ত তরল দ্রব্য পান করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আটজন হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাৎক্ষণিক তাদের পাকস্থলী ওয়াশসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সোমবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন এবং দুপুরে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুজন। তারা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সিফাতুল আলম সিপুর লাশ নিয়ে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিফাতুল আলম সিপুর লাশ নিয়ে যায় তারা।

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ বলেন, সিফাতুল আলম সিপু জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও মেধাবী ছাত্র ছিল। রাতে খাবার খেয়ে হঠাৎ স্ট্রোক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে মারা যায়। তার মৃত্যু ঘিরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, রবিবার রাতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রতন ও শাহীনের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরিবারের ইচ্ছায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিফাতের লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে কথা বলতে কুষ্টিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক পারভীন আখতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

সর্বশেষ খবর