মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

সীমান্তের নিরাপত্তায় আমরা সদা তৎপর

বিজিবি মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে নানা প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টাই তারা সদা তৎপর। সৈনিকরা দেশের জন্য প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 
গত রবিবার খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম পার্বত্য সীমান্তে অবস্থিত পানছড়ি ব্যাটালিয়নের (৩ বিজিবি) নাড়াইছড়ি বিওপি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দুর্গম এলাকায় সদস্যরা তাদের পরিবার-পরিজন বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ হয় না। ঈদের সময়ও বিজিবি সদস্যরা দিনরাত অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে চলছেন। দুর্গম পার্বত্য সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং আনন্দটুকু ভাগ করে নিতে এসেছি। ঈদের আনন্দের পাশাপাশি সৈনিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। সৈনিকদের কর্মতৎপরতায় আমি অভিভূত। তাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।

নাড়াইছড়ি বিওপির নায়েব সুবেদার শাহাদাত জামান বলেন, আমরা সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী। সীমান্ত রক্ষাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দূর-দূরান্তের দুর্গম পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করছি। পানছড়ি ব্যাটালিয়ন থেকে নাড়াইছড়ি বিওপি ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অনেক দুর্গম পথ পায়ে হেঁটে নাড়াইছড়ি বিওপিতে আসতে হয়। এখান থেকে যাওয়ার সময়ও একই অবস্থা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারাটা দুঃখজনক, তবে আমরা জেনেশুনে দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্যই বিজিবিতে যোগ দিয়েছি। এই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিজিবির মহাপরিচালক নাড়াইছড়ি বিওপিতে এসেছেন, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। মহাপরিচালকের আগমনে আমরা সবাই আনন্দিত ও গর্বিত।

নাড়াইছড়ি বিওপির সৈনিক মোজাম্মেল জানান, সবার আগে আমার দেশ। আমার একটি পরিবার আছে। বিজিবিও আমার পরিবার। দুই পরিবারে একসঙ্গে ঈদ করা সম্ভব হয় না। এবার সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছি। ঈদে আমার মা আমার জন্য একটা পাঞ্জাবি পাঠিয়েছে। বিজিবির মহাপরিচালকের আগমনে আমরা আবেগ-আপ্লুত। তিনি আমাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আমাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তার আগমন আমাদের কাজের উৎসাহ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এরপর বিজিবি মহাপরিচালক খাগড়াছড়ি সেক্টরের অধীন খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের (৩২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্যাটালিয়ন সদরে কোয়ার্টার গার্ড সালাম গ্রহণ করেন এবং বৃক্ষরোপণ করেন। পরে তিনি খাগড়াছড়ি সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন স্থাপনা ও স্থান ঘুরে দেখেন। মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার, বিজিবি খাগড়াছড়ি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, খাগড়াছড়ি ও পানছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর