গৃহযুদ্ধ কবলিত সুদান থেকে প্রথম দফায় ৪০০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আরও ৩০০ জনকে পরবর্তী ধাপে ফেরানো হবে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশিদের নিয়ে গত মঙ্গলবার (২ মে) সকালে প্রথম ধাপে খার্তুমের তিন জায়গা থেকে ৪০০ বাংলাদেশিকে নিয়ে ১৩টি বাস পোর্ট সুদানের পথে রওনা হয় এবং বাসগুলো রাত ২টায় পোর্ট সুদানে পৌঁছায়।

তারেক আহমেদ জানান, পোর্ট সুদানে একটি স্কুল ভবনে বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এ জন্য স্কুল ভবনটিতে মোট ৮টি কক্ষ এবং আরেকটি খোলা জায়গায় শামিয়ানা টাঙানো হয়। পোর্ট সুদান থেকে বাংলাদেশিদের নিরাপদে জেদ্দায় পাঠানো হবে। সৌদি আরবের জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। আজকের মধ্যে বাংলাদেশিরা জেদ্দা পৌঁছে যাবেন। এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, যেসব বাংলাদেশির কাছে পাসপোর্ট আছে, ভিসার জন্য তাদের ডকুমেন্ট সৌদি কর্তৃপক্ষকে আমরা সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেব। আর যাদের পাসপোর্ট নেই, তাদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এদিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সুদান থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সৌদির বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই দেশে ফেরত পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইটে এসব বাংলাদেশিকে ঢাকায় নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে এবং সেখানকার প্রায় দেড় হাজারের মধ্যে ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদিকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ এর অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিসরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।