মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাত মসজিদ সড়কের গাছ কাটা বন্ধসহ আট দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সাত মসজিদ সড়ক বিভাজকের গাছ কাটা বন্ধ করে সেখানে নতুন করে গাছ রোপণের দাবি জানিয়েছে সাত মসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলন কমিটি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

আন্দোলনের সমন্বয়কারী আমীরুল রাজীবের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, লেখক পাভেল পার্থ, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধূরী, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ।

আন্দোলনের সমন্বয়কারী আমীরুল রাজীব বলেন, ‘সাত মসজিদ সড়কে আগ্রাসী প্রজাতির গাছ খুব একটা নেই। গাছগুলো কোনোভাবেই সড়ক ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়। গাছগুলো রেখেই সড়ক সম্প্রসারণ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। রাতের আঁধারে গাছগুলো কাটা হয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছে গাছ কাটার অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে সঠিক অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে ধানমন্ডিতে আছি, তবে সব গাছ কেটে ফেলার মতো এমন নৃশংসতা আগে দেখিনি। আমরা এখন উন্নয়নের সঙ্গে লক্ষ্যকে মিলিয়ে ফেলছি। উন্নয়ন আর লক্ষ্য কিন্তু এক নয়। উন্নয়ন হচ্ছে উপায়, যার মাধ্যমে ভালো থাকা যায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি আমাদের জীবনের অংশ। যারা গাছ কাটছে তারা কি তাদের স্কুলজীবনে বেসিক বিজ্ঞান পড়েননি! গাছ কাটলে আমরা অক্সিজেন পাব কোথা থেকে! প্রকৃতিতে আমাদের বাঁচতে হলে গাছ বাঁচাতে হবে আর গাছ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।’ তাদের দাবিগুলো হলো- সাত মসজিদ সড়কদ্বীপে গাছকাটা অবিলম্বে বন্ধ করা এবং কেটে ফেলা গাছগুলোকে স্থানীয় প্রজাতি দ্বারা প্রতিস্থাপন করা। গাছ রোপণ করে তা আবার কেটে ফেলার রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে। নগরে বনায়ন, গাছ রক্ষা ও কাটার প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় যে কোনো প্রকল্প গ্রহণে পরিকল্পনা প্রতিবেদন তৈরি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট এবং সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা শাখার যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পার্ক, উদ্যান, সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন পরিকল্পনার নকশা জনগণের কাছে উপস্থাপন করে এলাকাবাসীসহ পেশাজীবী, পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবিদসহ, উদ্যানতত্ত্ববিদদের যথাযথ মতামত গ্রহণসাপেক্ষে পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। বিদ্যমান গাছ ও সবুজ অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। নগর এলাকায় গাছ কাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর আর বন অধিদফতরের যথাযথ ভূমিকা প্রতিপালনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রকৃতিভিত্তিক পরিকল্পনাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর