বুধবার, ১০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাজশাহী

তবু দুশ্চিন্তা আওয়ামী লীগ শিবিরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আবহ নেই। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। মেয়র পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রার্থী হিসেবে নতুন নন। বর্তমান মেয়াদের আগেও তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে লিটন কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়ছেন না। ফলে এবারের ভোট অনাগ্রহ ও উৎসবহীন নির্বাচনে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী।

স্থানীয়রা বলছেন, লিটনই মেয়র হবেন, তাই ভোটে নেমে অযথা শত্রুতা সৃষ্টি করে কী লাভ। এমন পরিস্থিতিতে এই সিটির ভোটে প্রার্থী হতে পারেন এমন গ্রহণযোগ্য অনেকে থাকলেও তারা ভোটের লড়াইয়ে নামতে চান না। ফলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোট পরিস্থিতি সাদামাটাই হবে বলে মনে করছেন নগরবাসী। জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাসিক নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিটনের মেয়র হওয়ার আর সুযোগ নেই। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকছে, কিন্তু ভোটের লড়াই থাকছে না। জাতীয় পার্টি তাদের রাজশাহী নগরীর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকীকে মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করলেও তারা ভোটের মাঠ জমাতে পারবেন বলে মনে করছে না নগরবাসী। তবে আওয়ামী লীগ শিবিরে দুশ্চিন্তাও আছে। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না এলেও ভোটের আগে তারা নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নৌকার প্রার্থীকে হারানোর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জাতীয় ইস্যুর প্রভাব পড়তে পারে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। তাই প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চান না মেয়র লিটন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তিনি। ১৪ দলীয় জোটকেও সক্রিয় করার কাজ করছেন। এরই মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তারা লিটনের পক্ষে সক্রিয়ভাবেই মাঠে থাকবে। মেয়র লিটন বলেন, বিগত সময়ে তার যে কার্যক্রম তাতে উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। এবার তিনি জোর দিতে চান কর্মসংস্থানের ওপর। আগামীতে নির্বাচিত হয়ে তিনি ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিচ্ছেন নির্বাচনী মতবিনিময় সভায়। এসব নানা কিছু মিলিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটের আলোচনা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যেই বেশি। দলের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন যিনি পেয়েছেন তার দিকেই এগিয়ে থাকবে জয়ের পাল্লা। দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে লিটন নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করায় দল ও ভোটারদের একটি অংশের আগ্রহ তাকে ঘিরেই। তাছাড়া ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় লিটনই এগিয়ে আছেন। তিনি এগিয়ে থাকলেও ভোটের মাঠে উত্তাপ না থাকায় লড়াইটা নিষ্প্রভ।

সর্বশেষ খবর